শিরোনাম |
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডাক্তার শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী বৈষম্যহীন দেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছে। যে দেশ গড়ার জন্য এদেশের ছাত্র-জনতা গুলির মুখে বুক পেতে দিয়েছিল। জুলাই-আগস্টে যারা শহীদ হয়েছেন তারা জাতীয় বীর। জামায়াত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে যারা সাড়ে ১৫ বছর ধরে নানা ধরনের অপরাধ করেছে তাদের বিচার হবে। অপরাধীদের ক্ষমা করা হবে না। তিনি শুক্রবার রাতে যশোরের চাঁচড়া মোড়ে আয়োজিত বিশাল পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। জামায়াত আমির সাতক্ষীরায় যাওয়ার পথে এ পথসভায় বক্তৃতা করেন।
তিনি বলেন, একটি দেশের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যশোর থেকে প্রথম প্রতিবাদ হয়। তৎকালীন নয় নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর এমএ জলিলের নেতৃত্বে ওই প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল। এ কারণে যশোরকে অন্য এক মর্যাদায় দেখা হয়। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ বিগত সাড়ে ১৫ বছর ধরে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের উপর এমন কোনো জুলুম নেই যা করেনি। একপর্যায়ে জামায়াতকে তারা নিষিদ্ধ করে। মহান আল্লাহতায়ালা এসব জুলুমের জবাব দিয়েছেন তাদেরকে নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে। এদেশের মানুষ ফ্যাসিস্টকে নিষিদ্ধ করেছে।
জামায়াত আমির বলেন, আওয়ামী লীগ এখনও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তাদের এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে হবে। ৫ আগস্টের পর সারাদেশের কোথাও জামায়াত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ওঠেনি। জামায়াত দুঃখের দিনে মানবতার পাশে ছিল, আগামীতেও থাকবে। বক্তৃতা শেষে শহরতলির খোলাডাঙ্গায় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত জামায়াত নেতা সজলের শিশু সন্তান সজীবকে কোলে নিয়ে আদর করে উপহার দেন তিনি।
যশোর জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রসুলের সভাপতিত্বে পথসভায় বক্তৃতা করেন জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আবু জাফর ও সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস। এ সময় জামায়াত নেতা নিহত সজলের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন জেলা জামায়াতের মজলিসে শুরার সদস্য অ্যাড. গাজী এনামুল হক। সংগীত পরিবেশন করেন অধ্যাপক আশরাফ আলী ও যশোর সাংস্কৃতিক সংসদের শিল্পীরা।
যশোরের পর ঝিকরগাছা ও শার্শার নাভারণ মোড়ের পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন জামায়াত আমির ডাক্তার শফিকুর রহমান।