gramerkagoj
শনিবার ● ১৭ মে ২০২৫ ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
gramerkagoj
আজ শ্যামা পূজা
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর , ২০২৪, ১২:০১:০০ এএম
কাগজ সংবাদ:
GK_2024-10-30_6722585c1b34d.jpg

আজ বৃহস্পতিবার সনাতন ধর্মবিশ্বাসীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্যামা পূজা। একরাতে পূজা শেষ হলেও যশোরে শ্যামা পূজার বর্ণিল আলোকসজ্জাসহ প্রাণবন্ত উৎসব আমেজ থাকে কয়েকদিন। দুর্গা পূজা শেষ হওয়ার পর তাই পুরোদমে শুরু হয়ে যায় শ্যামা পূজার প্রস্তুতি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশেষ বার্তা সমৃদ্ধ মণ্ডব, প্রতীমা এবং ভিন্ন ভিন্ন তোরণের সমারোহে উৎসব উদযাপনে প্রস্তুত যশোর। থিমনির্ভর মণ্ডব নির্মাণ বা ব্যতিক্রমী আয়োজনে পূজা আয়োজকদের মধ্যে এবারও আছে নিরব প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের মধ্য দিয়ে ভক্তের জীবনে কল্যাণের অঙ্গীকার নিয়ে কার্তিক মাসের অমাবশ্যা তিথিতে পৃথিবীতে আগমন ঘটে দেবী শ্যামার। জগতের সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়ের মধ্যেই রয়েছে শ্যামা বা কালী পূজার মূল বার্তা ও মাহাত্ব। দেবী চরণে শ্রদ্ধা আর পূষ্পাঞ্জলী প্রদানের পাশাপাশি অজ্ঞানতা ও নিরাশার অন্ধকারকে দূরীভূত করতে শনিবার রাতে চতুদর্শী তিথিতে ঘরে ঘরে প্রদীপ প্রজ্জ্বালন করা হয়েছে। শ্যামা পূজার আগে উদযাপন করা হয় দিপাবলী। এটি সনাতন ধর্মবিশ্বাসীদের ধর্মীয় উৎসব হলেও এর আলোকে পুণ্যশিখার ব্যাপ্তি শুধুমাত্র তাদের ঘরেই আটকে থাকে না। আলোকোৎসবের ছটায় প্রত্যেক মানব হৃদয় মেতে ওঠে।
উৎসবকে ঘিরে ধর্ম, বর্ণের গণ্ডি পেরিয়ে সকল মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় প্রতিটি মণ্ডব ও মন্দির আঙ্গিনা। পূজার দিন থেকে প্রতীমা নিরঞ্জনের আগ পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত অবধি দর্শনার্থীদের ঢল নামে। দর্শনার্থী ও ভক্তদের এ উৎসব আমেজ বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে ব্যতিক্রমী আয়োজনের চিন্তার কমতি থাকেনা পূজা আয়োজকদের।
বুধবার শহরের বিভিন্ন অস্থায়ী মণ্ডব ও মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, শ্যামা পূজা উপলক্ষে বৈচিত্রময় আয়োজনের সমাহার। সবস্থানে চলছে শেষ পর্যায়ের কাজ। শুধুমাত্র যশোর শহরের বিভিন্ন মন্দির, মন্ডব এবং ব্যক্তিগত আয়োজন মিলে সহস্রাধিক স্থানে বিশেষ আয়োজনে পূজা হলেও সকলের আগ্রহ থাকে মূলত বেজপাড়ার দিকে। দূর দূরান্ত থেকে ভক্ত ও দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন এখানকার পূজা উৎসবে অংশ নিতে।
দেবী চরণে শ্রদ্ধা আর পূষ্পাঞ্জলী প্রদানের পাশাপাশি অজ্ঞানতা ও নিরাশার অন্ধকারকে দূরীভূত করতে বুধবার রাতে চতুদর্শী তিথিতে ঘরে ঘরে প্রদীপ প্রজ্জ্বালন করা হয়েছে। শ্যামা পূজার আগে উদযাপন করা হয় দিপাবলী। এটি সনাতন ধর্মবিশ্বাসীদের ধর্মীয় উৎসব হলেও এর আলোকের পুণ্যশিখার ব্যাপ্তি শুধুমাত্র তাদের ঘরেই আটকে থাকে না। আলোকোৎসবের ছটায় প্রত্যেক মানব হৃদয় মেতে ওঠে। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের মধ্য দিয়ে ভক্তের জীবনে কল্যাণের অঙ্গীকার নিয়ে কার্তিক মাসের অমাবশ্যা তিথিতে পৃথিবীতে আগমন ঘটে দেবী শ্যামার। জগতের সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়ের মধ্যেই রয়েছে শ্যামা বা কালী পূজার মূল বার্তা ও মাহাত্য। অপেক্ষা এখন সেই মাহেন্দ্র ক্ষণের।
এদিকে, দীপাবলী উপলক্ষে যশোর সরকারি এমএম কলেজ প্রাঙ্গণ সহস্র প্রদীপের আলোতে আলোকিত করে আলোকউৎসব উদযাপন করবে সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ।

আরও খবর

🔝