শিরোনাম |
রাজশাহী জেলার বাঘায় পদ্মার ভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে ৭০টি পরিবার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের আতারপাড়া, চৌমাদিয়া, দিয়াড়কাদিরপুর চরে এ ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া আতারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
জানা গেছে, আতারপাড়া ও চৌমাদিয়া চরের জয়নাল আবেদিন, মুসা হালদার, আজগর মোল্লা, আনোয়ার শিকদার, আনজিরা বেগম, পারুল বেগম, লালন, শাহ আলম, রাসেল হোসেন, তাজেল গাজি, আজিজ গাজি, আকবর আলী, আলম ব্যাপারি, মাজেদা বেগম, তরিকুল ইসলাম, হোসেন আলী, জলিল মোল্লা, সানোয়ার মোল্লা, ফারুক ব্যাপারি, আবু মোল্লা, ইব্রাহীম হালদার, বাবলু হালদার, দিলু দর্জি, জালাল উদ্দিন, আয়নাল মোল্লা, কাদির গাজি, ফরুক ব্যাপারি-২, আমাল ব্যাপারি, ফজল হালদারেরসহ ৭০টি বাড়ি ও আতারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মসজিদ এক সপ্তাহের ব্যবধানে পদ্মাগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তারা অন্যস্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর চৌমাদিয়ায় ওয়ার্ডের মেম্বর আবদুর রহমান দর্জি বলেন, পদ্মার ভাঙনের কারনে আতারপাড়া ও চৌমাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। চকরাজাপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আতারপাড়ায়, ২ নম্বর ওয়ার্ড চৌমাদিয়ায়া এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ড দিয়ারকাদিরপুরে মোট ৭৫০টি পরিবারের ৩ হাজার ৫০ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ৭০টি পরিবারের ঘরবাড়ি পদ্মাগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় তারা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
লালন উদ্দিন বলেন, নদী ভাঙনের কারণে বসতভিটা ভেঙে যাওয়ায় আটরশি চরে ঘরের মালামাল রাখা হয়েছে। ঘর তোলার মতো জমি ও অর্থ নেই। আমার কিডনির চিকিৎসা করতে গিয়ে যা ছিল সব বিক্রি করেছি। ভিটাটুকু ছিল সেটাও পদ্মার পেটে চলে গেছে।
সিদ্দিক হোসেন বলেন, ১০টি মহিষ খোলা আকাশের নিচে রাখা হয়েছে। মহিষগুলো আটরশি চরে রাখা হয়েছে। মাঠের মধ্যে বিষাক্ত রাসেল ভাইপার আতঙ্কে রয়েছি। উদয়নগর চরের আশরাফুল ইসলাম ও শাহ আলমের ১০০ বিঘা জমির কলা নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া চরে ২ হাজার বিঘা জমিতে কলা চাষ হয়েছে। এতে চাষিদের প্রায় ৩০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর চৌমাদিয়ায় ওয়ার্ডের মেম্বর আবদুর রহমান দর্জি বলেন, পদ্মার ভাঙনে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আতারপাড়ায়, ২ নম্বর ওয়ার্ড চৌমাদিয়ায়া এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ড দিয়ারকাদিরপুরে ৭০টি পরিবারের ঘরবাড়ি পদ্মা গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় তারা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। তাদের সরকারি ভাবে কিছু সহযোগিতা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙনে কিছু পরিবার খোলা আকাশে নিচে বসবাস করছেন ও কিছু বাড়িতে পানি উঠায় তাদের তালিকা করে সহযোগিতা করা হয়েছে।