শিরোনাম |
ম্যালাদিন আগে একদিন এক ইউনিয়ন পরিষদে গিলাম এট্টা কাজে। যাইয়ে দেকি ভিড় ভাট্টায় একাকার। গুড়ি মাইরে চিয়ারমেন সাহেবের খোপে যাইয়ে দেকি স্যানেও পা ফেলার জাগা নেই। নানান লোক আইয়েচে নানান তদবির তাগেদায়। চিয়ারমেন সাহেব এট্টার পর এট্টা কতা শুইনেই যাচ্চে। কারো দেকতিচি, করে দুবানে, ঠিক আছে যা এইরাম কইরে আশ্বাস দিয়ে পার কইত্তেচে। ভিড় এট্টু কম হলি চিয়ারমেনের সুমকি চিয়ারে বসতি কলে। যাইয়ে কেবল বসলাম, এর মদ্দি এক লোক চিয়ারমেনের কাচে নাছোড়বান্দা হইয়ে তদবির তাগেদা কইরেই যাচ্চে। সেই লোকের দাবি হচ্চে তারে এট্টা বয়েস্ক ভাতার কাড কইরে দিতি হবে। তাই শুইনে চিয়ারমেন কলে, বয়েস্ক ভাতার কাড চাচ্চিস তোর বয়েস হইয়েচে? দুই এক বচর এই দিক সেইদিক হলিও ডানি বায় কত্তি পাত্তাম। তোর তো বয়েস ৪৫ মাত্তর। তোরে বয়েস্ক ভাতার কাড দেব কিরাম কইরে? তকন সেই বিটা কচ্চে মানলাম আমার বয়েস হয়নি। তালি আমার বউরে এট্টা বিধবা ভাতার কাড কইরে দেও! চিয়ারমেন এই কতা শুইনে কলে, এ তুই কি কচ্চিস? তুই বাইচে থাকতি তোর বউ’র নামে বিধবা কাড দেব কিরাম কইরে! সেই বিটার চুয়াচুয়ি কতা, কিরাম কইরে দিবা, কনতে দিবা সিডা জানিনে। কিন্তুক দিতিই হবে!
চিয়ারমেন সাহেব আমার দিকি তাগায়ে কলে, কি করবো কওদিনি চাচা। আমি চাপনিতি কলাম ও কি তুমার কোন কুটুম হয়? যিরাম দাবি নিয়ে কতা কচ্চিল। এইবার চিয়ারমেন হাল্কা কাশি মাইরে কলে, আর কইয়ো না, ভোটের সুমায় ভোট কাইটে বাক্স ভরিল। সেই হিসেবে ওর কাচে আমি দিনা। তাই একন সেই দিনা শোধ নিতি এই সব বায়না কচ্চে।
পুরোন এই ঘটনাডা হালি কইরে মনে পইড়ে গেলো। একন কম বেশ স¹লি আন্দোলনকারী। দল বাইন্দে বাইন্দে যাচ্চে সরকারের কাচে দাবি নিয়ে। কোনডা যোক্তিক আবার কোনডা ঐ লোকের মতো। কনতে দিবা জানিনে, দিতি হবে। সবে সরকার হইলো। এট্টু র’ কর। সব বুইজে শুইনে নিয়ে কাজ শুরু করুক। তা না পেত্তেকদিন কোন না কোন দাবি নিয়ে সব হাজির হচ্চে।
দেশটা কি বায়না ঘর হইয়ে গেলো! আলম কনে, মলাম যে!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা