শিরোনাম |
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা জোর করে লিখে নেওয়ার অভিযোগে মাশরাফি বিন মর্তুজার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিক সারোয়ার চৌধুরী বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন। মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে মাশরাফিকে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, মাশরাফি ও তার লোকজন সারোয়ার মালিকানার টাকা না দিয়ে তার প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিলেন।
এই ব্যাপারে সিলেট স্ট্রাইকার্স নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে জানিয়েছে, দলটির মালিকানায় কখনোই মাশরাফি ছিলেন না। উল্টো সারোয়ারের বিরুদ্ধে খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফদের পারিশ্রমিক ও অন্যান্য খরচ না দেওয়ার অভিযোগ এনেছে দলটি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিলেট স্ট্রাইকার্স পোস্ট করেছে, সিলেট স্ট্রাইকার্সের এক শতাংশের মালিকানা মাশরাফি বিন মর্তুজার কখনো ছিল না। এখনও নেই। জোর করে মালিকানা লিখে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানার যে কাগজপত্র বিসিবির কাছে আছে, সেখানেও মাশরাফির নাম নেই।
সারোয়ার গোলাম চৌধুরীর মালিকানার বিষয়টিও পরিস্কার করেন, শুরুতে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ৬০ শতাংশের মালিকানা ছিল সারোয়ার গোলাম চৌধুরীর। সহ স্বত্বাধিকারীদের সঙ্গে সক্রিয় হয়ে তিনি কাজ করছিলেন। কিন্তু যখন ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক থেকে শুরু করে অন্যান্য খরচের পালা আসে, ক্রমে তাকে পিছু হটতে দেখা যায়। অনেক ক্রিকেটার ও ম্যানেজমেন্টের কয়েকজন সদস্যের পারিশ্রমিক, পরিচালন খরচ ও বিভিন্ন খাতে তার অংশের কয়েক কোটি টাকা বাকি রেখেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। তার সঙ্গে যোগাযাগ করা হলে বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরও কোনো পদক্ষেপ তিনি নেননি।
শেষ পর্যন্ত পাওনা টাকা শোধ করতে না পেরে গত বছরের আগস্টে তিনি নিজ থেকেই অন্যান্য স্বত্বাধিকারীর ওপর মালিকানা ছেড়ে দেন। বিসিবিকেও তিনি ই-মেইল দিয়ে নিজের সরে যাওয়ার কথা জানান।
সিলেটের দাবি, ক্রিকেটার, কোচ, ম্যানেজমেন্টের অন্যান্য সদস্য ও সংশ্লিষ্ট অনেকেরই পারিশ্রমিক বকেয়ার বিষয়টি অবগত। আইনগত লড়াইয়ে মাশরাফির পাশে থাকার কথা বলেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। সাম্প্রতিক পালাবদলের পর দেশ যখন নতুন যুগের সন্ধিক্ষণে, তখন পরিস্থিতির ফায়দা নিয়ে কেউ কেউ ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য হাসিল করার চেষ্টা করছে। আমরা সব কিছু আইনগতভাবেই মোকাবেলা করব।