কানপুর টেস্টে রেকর্ড গড়া জয় পেয়েছে স্বাগতিক ভারত। তারা বাংলাদেশকে হারিয়েছে সাত উইকেটে। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে স্বাগতিকরা। এ নিয়ে মোট নয়টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলে আটটিতেই জিতেছে ভারত।
গ্রিন পার্কে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এতে মাত্র ৯৫ রানের লক্ষ্য পায় ভারত। ১৭ওভার দুই তিনটি উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য টপকে যায় রোহিত শর্মারা। এই স্টেডিয়ামে এর আগে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮২ রান তাড়া করে টেস্ট জয়ের রেকর্ড ছিল। এবার ৯৫ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে নতুন রেকর্ড গড়েছে ভারত। আগের রেকর্ডটিও ছিল ভারতের। ১৯৯৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে টেস্ট জিতেছিল তারা।
লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে আট রানে আউট হন রোহিত শর্মা। ব্যাক টু ব্যাক বোলিংয়ে এসে শুভমান গিলকেও এলবিডাব্লু করেন মিরাজ।
৪৫ বলে ৫১ রান করে তাইজুল ইসলামের বলে সাকিব আল হাসানের হাতে ক্যাচ হন যসস্বি জয়সওয়াল। জয়ের জন্য তখন দরকার তিন রান। এরপর বিরাট কোহলির অপরাজিত ২৯ ও রিশান্ত পান্তের অপরাজিত চার রানে জয় নিশ্চিত করে ভারত।
মঙ্গলবার ২ উইকেটে ২৬ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। দিনের তৃতীয় ওভারেই আউট হয়ে যান মুমিনুল হক। প্রথম ইনিংসে ১০৭ রানে অপরাজিত থাকা মুমিনুল দ্বিতীয় ইনিংসে ফেরেন মাত্র ২ রানে।
সাদমান ইসলামের সঙ্গে ৫৫ রানের দারুণ জুটি করে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। ইনিংসের ২৮তম ওভারে দলীয় ৯১ রানের মাথায় রবীন্দ্র জাদেজার বলে বোল্ড হন তিনি। ৩৭ বলে ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরত যান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
দলীয় দুই রান যোগ করতেই আউট হয়ে যান ফিফটি করা সাদমান। ১০১ বলে ৫০ রান করেন এ ব্যাটার। ব্যাক টু ব্যাক বোলিংয়ে এসে লিটন দাসকে এক রানে আউট করেন জাদেজা। এরপর আকাশ দীপের ওভারকে স্যান্ডউইচ বানিয়ে পরের আবার বোলিংয়ে আসেন জাদেজা। ওভারের দ্বিতীয় বলেই সাকিব আল হাসানকে শুণ্য রানে ফেরান। অর্থাৎ তিন উইকেটে ৯১ রান করা বাংলাদেশের ৯৪ রানে হারায় সাতটি উইকেট।
মেহেদী হাসান মিরাজও ফেরেন নয় রানে।। তাইজুল ইসলাম আউট হন শূণ্য রানে। দশম উইকেটে ১৬ রানের জুটি করেন মুশফিকুর রহিম ও খালেদ আহমেদ। বুমরাহর বলে ৬৩ বলে ৩৭ রান করে মুশফিক বোল্ড হলে ইনিংস শেষ হয় বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে তিনটি করে উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, জাসপ্রিত বুমরাহ ও রবীন্দ্র জাদেজা।