শিরোনাম |
নীরব এলাকার কনসেপ্ট প্রথমে বিমানবন্দর এলাকা এবং এরপর আমরা ঢাকার অন্যান্য এলাকাগুলোও ধীরে ধীরে ‘নীরব এলাকার’ আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন বর্তমান সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সদর দপ্তরের সামনে থেকে ‘নীরব এলাকা’ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং এর সামনে ৩ কিলোমিটার মহাসড়কে (উত্তরে স্কলাস্টিকা পয়েন্ট থেকে দক্ষিণে লা মেরিডিয়ান পয়েন্ট পর্যন্ত) ঘোষিত হর্নমুক্ত ‘নীরব এলাকা’ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে সচেতনতামূলকভাবে এই কার্যক্রম পরিচালনা করবো। আপতত এই এলাকার ৩ কিলোমিটার নীরব এলাকা ঘোষণা করে সূচনা করা হয়েছে। আসলে সবাই সচেতন এবং নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেষ্ট হলেই আমরা এই নীরব এলাকা কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করতে পারবো।
তিনি বলেন, এটা আমাদের দীর্ঘ দিনের অভ্যাসের বিষয়, তাই হুট করে হর্ন না বাজানো কঠিন কাজ। তবে অবশ্যই আমাদের ধীরে ধীরে পরিবর্তন হতে হবে। প্রথম এক সপ্তাহ আমরা এই এলাকাতে নীরব এলাকার কর্মসূচি পরিচালনা করবো, কারণ বিদেশ থেকে যখন কেউ এসে নামে তার কানে এই হর্নের শব্দ বাজে লাগে। তাই আমরা প্রথমে এই এলাকাকে বেছে নিয়েছি। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এতটা হর্ন বাজায় না। বিমানবন্দর এলাকার পরে ক্রমান্বয়ে ঢাকা শহরের অন্যান্য এলাকাতেও আমরা নীরব এলাকার কর্মসূচি চালু করবো।
উপদেষ্টা আরও বলেন, বিমানবন্দর এলাকাকে নীরব এলাকার কর্মসূচি পালনের সময় সচেতন করার পাশাপাশি আমরা আইনের প্রয়োগও রাখবো। কাজটা শুরু করতে পেরেছি এটাই আমাদের জন্য বড় ব্যাপার। দীর্ঘ দিনের অভ্যাস, তাই এখান থেকে বের হয়ে আসতে আমাদের সময় লাগবে। নীরব এলাকার কনসেপ্ট প্রথমে বিমানবন্দর পরে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা এবং এরপর আমরা ঢাকার বাইরে ধীরে ধীরে এটা বাস্তবায়ন করবো।
তিনি আরও বলেন, যদিও এমন উদ্যোগ কার্যকর হতে সময় লাগবে। কারণ হর্ন বাজানো যে অপরাধ এটাই অনেক চালক কোনোদিন শোনেনি। তাই আমরা চিন্তা করেছি ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার সময় এই বিষয় জানানো বা উল্লেখ রাখার ব্যবস্থা করা যায় কি না, সেই বিষয়ে উদ্যোগ নেব। সার্বিকভাবে সচেতন করার সময় আমরা নীরব এলাকায় হর্ন বাজানোর জন্য জরিমানা মিনিমাম রেখেছি, আর সেটা ৫০০ টাকা। আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মাঠে থাকবেন।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে নীরব এলাকা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, বিআরটিএ, ঢাকা ট্রাফিক, রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে, পরিবেশ অধিদপ্তর, এপিবিএন, বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।