শিরোনাম |
সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে আরও এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় রাজধানীর খিলগাঁও থানায় দায়ের হওয়া এক হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে তাকে আদালতে আনা হয়। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা তাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন উত্তর মুগদাপাড়ায় হাসান মাহমুদ নামে এক সাংবাদিক ও বিএনপি নেতার নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় গাজীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সালমান এফ রহমান, গোলাম দস্তগীর গাজী, শামীম ওসমান, সাবের হোসেন চৌধুরী, নজরুল ইসলাম বাবু, শাহজাহান খান, মশিউর রহমান রাঙ্গা, এনায়েত উল্লাহ, এরফান সেলিম, লোটাস কামাল, আতিকুল ইসলাম, হারুন-অর-রশীদ, বিপ্লব কুমার সরকার।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জুলাই মাসের ৩১ তারিখ দিবাগত রাত দেড়টায় সবুজবাগ থানাধীন উত্তর মুগদাপাড়ার নিজ বাসা থেকে বের হন জাতীয়তাবাদী সড়ক পরিবহন শ্রমিক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাসান মাহমুদ। পেশায় সাংবাদিক হাসান ওই রাতে বাসায় না ফেরায় তার স্ত্রী অনেক খোঁজাখুঁজি করে জানতে পারেন ৫০/৬০ জন সাদা পোশাকে অস্ত্রধারী লোক তাকে তুলে নিয়ে গেছেন। পরে জানতে পারেন ছাপরা মসজিদের সামনে রাস্তার ওপর তিনি পড়ে আছেন। ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে ঘটনাস্থল থেকে হাসান মাহমুদকে মুগদা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় গত ২৯ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে হাসান মাহমুদের স্ত্রী ফাতেমা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ও গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে গত ২৪ আগস্ট রাজধানীর শান্তিনগরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, ফতুল্লা থানা ও ঢাকায় তার নামে বেশ কয়েকটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।