শিরোনাম |
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের তৃতীয় ও শেষ দফার ভোট চলছে।স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। বিধানসভার ৯০টি আসনের মধ্যে তৃতীয় দফায় মোট ৪০টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে।
৪০ আসনের মধ্যে ২৪টি আসন জম্মুর অংশে জম্মু, সাম্বা, কাঠুয়া এবং উধমপুর জেলায়। বাকি ১৬টি আসন কাশ্মির উপত্যকার বারমুল্লা এবং কুপওয়ারা জেলায়। তৃতীয় দফার ভোটে মোট ৪১৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ লাখের বেশি।
ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে আধাসামরিক সেনা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে বলেছেন, ‘জম্মু ও কাশ্মির বিধানসভা নির্বাচনে আজ তৃতীয় ও শেষ দফার ভোট। গণতন্ত্রের উৎসবকে সফল করতে সকল ভোটারদের এগিয়ে এসে ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। আমি নিশ্চিত যে তরুণ বন্ধুরা প্রথমবার ভোট দিতে যাচ্ছেন, তারা ছাড়াও নারী শক্তি বিপুল সংখ্যায় ভোটে অংশগ্রহণ করবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ‘জম্মু ও কাশ্মিরর এক দূরদর্শী সরকার দরকার, যারা এখানে নিরাপত্তা, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে পারে। শেষ দফায় ভোটাধিকার ব্যবহার করে এখানকার জনগণের এমন এক সরকার গঠন করা উচিত, যা জম্মু ও কাশ্মিরকে সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ, স্বজনপোষণ এবং দুর্নীতি থেকে দূরে রাখবে এবং প্রতিটি সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হবে। জম্মু ও কাশ্মিরে পর্যটন, শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং সর্বাত্মক উন্নয়নের জন্য ঐতিহাসিক ভোটে অংশ নিন।’
জম্মু-কাশ্মিরে ২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিন দফায় ভোট হচ্ছে। ৯০টি নির্বাচনী আসনের মধ্যে গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় ২৪টিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট পড়েছিল প্রায় ৬১ শতাংশ। গত ২৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় ২৬টি আসনে ভোট হয়। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে প্রায় ৫৭.৩ শতাংশ ভোট পড়েছিল। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে তৃতীয় ও শেষ দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আগামী ৮ অক্টোবর ভোটগণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
১০ বছর পর প্রথমবার জম্মু ও কাশ্মিরে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে। তবে ২০১৪ সালের মতো পূর্ণ রাজ্য হিসেবে নয়, বরং কেন্দ্রীয় সরকার শাসিত অঞ্চল হিসেবে। ২০১৯ সালে ভারত সরকার সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের ফলে বিশেষ মর্যাদা হারানোর পাশাপাশি রাজ্যের তকমাও হারায় জম্মু ও কাশ্মির। পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের পরিবর্তে জম্মুকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করা হয়।