শিরোনাম |
তামান দুইনের চারজন বড় শাসকের মদ্দি অন্যতম একজন নমরুদ। প্রায় ৪০০ বছর রাজত্ব করিলো সে। ক্ষেমতার হ্যাতো বাড়ম্বায় হইলো যে নিজেরে খুদা পন্তিক দাবি করিল। শুদু দাবি কইরেই ক্ষ্যান্ত হইলো না, আল্লার সাতে পাল্লা দিতি যুদ্দু ঘোষনা করিল। সৈন্য সামন্ত লোক লস্কর নিয়ে খুলা মাটে যাইয়ে আকাশের দিকি তীর পন্তিক চাইলে যুদ্দু চালায় যাচ্চিল। আল্লা তাই দেইকে তারে জব্দ করার জন্যি মশা পাঠাইলেন। সেই মশা শুদু তার সৈন্য দলরেই পাইড়ো করিল না, এট্টা দূব্বল মশা নমরুদির নাক দিয়ে মাতা পন্তিক চইলে গিলো। মাতার মদ্দি যাইয়ে মচ্চি মুলামে কামড়াইতো। জুতো দিয়ে বাড়ি দিলি মশা এট্টু থির থাইকতো। বাড়ি থামালি আবার কামড়ানো শুরু। ইরাম কইরে মাতায় বাড়ি দিয়ার জন্যি লোক ফিট কত্তি হইলো। পিরায় ৪০ বছর ইরাম মাতায় বাড়ি দিতি দিতি তিস্টোতি না পাইরে লাটি দিয়ে জোরসে ঘা দিতিই তার ভবলীলা সাঙ্গ হইলো।
সেইত্তে মশারে তুচ্চু ভাবার কোন জো নেই। একন আবার সেই মশা মানসির জীবন খ্যায় কইরে দেচ্চে। পেত্তেক বচরই দেশে ডেঙ্গু রোগডা মাতা চাড়া দিয়ে ওটে। বষষার শেষেই এর রোগের বাড়ন্ত। শুনতি পালাম গতকাল এই বচরের সব্বোচ্চ ডেঙ্গু রুগি হাসপাতালে ভত্তি হইয়েচে। পশশু সারাদেশে ডেঙ্গু নিয়ে ১ হাজার ২২১ জন হাসপাতালে ভত্তি হইয়েচে। এই নিয়ে ডেঙ্গুতি আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ায়েচে ২৯ হাজার ৭৮৬ জনে। এ সময় নতুন করে আরও আট জনের মৃত্যু হইয়েচে। এ নিয়ে চলতি বছরে মশা দিয়ে ঘটা রোগডাতে মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ায়েচে ১৫৮ জনে। এর আগে গ্যালো ২২ সেপ্টেম্বর রেকড ৯২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভত্তি হইলো। আক্রান্তগের মদ্দি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলেকায়ই ৪৩৪ জন রইয়েচে। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৬৭ জন, বরিশালে ৭৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮৩ জন, খুলনায় ১৩৪ জন, ময়মনসিংহে ৪৮ জন ও রাজশাহীতে ৫৩ জন রোগী হাসপাতালে ভত্তি হইয়েচে। ১ জানুয়ারিত্তে ২৯ সেপ্টেম্বর পন্তিক মৃত্যু ১৫৮ জনের মদ্দি ৫১ পয়েন তিন ভাগ বিটি আর ৪৮ পয়েন ৭ ভাগ বিটা।
কি সব্বোরাশে কতা কওদিনি বাপু! এট্টু সচেতন হলি যে রোগতে বাচা যায় সেই রোগই যদি আমাগের গইড়েপানার জন্যি মহামারি আকারে ধারন করে তালি কিরামডা লাগে! আলাম কনে, মলাম যে!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা