শিরোনাম |
সুনামগঞ্জে এলপিজি গ্যাসের দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সন্ধ্যার আগ মূহুর্তে সদর উপজেলার রাধানগর বাজারে তৈয়বুর রহমানের দোকানে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে এলপিজি গ্যাসের দোকানের সাথে থাকা দু'টি মনোহারি দোকান,ফার্মেসী, কাপড়ের দোকানেও আগুন ধরে। গ্যাসের দোকানে ৩৮০০ সিলিন্ডার গ্যাস ছিল বলে দাবী দোকানীর। তবে এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সুনামগঞ্জ ও বিশ্বম্ভপুর দুই ষ্টেশনের ৪ টি ইউনিট সহ রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীগণ আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
এ বিষয়ে তৈয়বুর রহমান এর ভাতিজা নজরুল ইসলাম জানান,দুইটা ভূষিমালের দোকান, একটা ফার্মেসী, একটা গ্যাস সিলিন্ডার এর দোকানঘর, কাপড়ের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সবমিলিয়ে ৭০/৮০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তৈয়বুর রহমান এর বড় ভাই জহিরুল ইসলাম জানান,আকষ্মিক ভাবেই দোকানে আগুন লাগে।ধারণা করা হচ্ছে যে,কারেন্টের লাইন শর্ট করেই আগুন ধরে।এই মার্কেটে পাঁচটি দোকানে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফার্মেসীর মালিক জুবায়ের আহমেদ আনা জানান, হঠাৎ করে আমাকে একজনে বললেন যে, মার্কেটে আগুন লাগছে।তখন আমার দোকানে মানুষজন ছিলেন তারা বের হয়েছেন,আমি দোকানের বিদ্যুৎ লাইন অফ করি। এরপরে কিছু সময়ের মধ্যেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে যায়।আমার দোকানের সবকিছুই পুরে গেছে। অবশিষ্ট কিছুই নেই। প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার ডেকোরেশন সহ ঔষধপত্র ছিল সব শেষ।
ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার এবং একটি মুদির দোকানের মালিক জাবেদ ওমর জানান,তিনি ইলেকট্রনিকস কাজ করতেন, ইলেকট্রনিকস জাতীয় মালামাল বিক্রি করতেন এবং একটি মুদির দোকানও ছিলো। তার সবকিছুই আগুন পুড়ে গেছে। সবমিলিয়ে তার পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফায়ারসার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সুনামগঞ্জ সদর স্টেশনের ওয়ার হাউস পরিদর্শক সুবল দেবনাথ বলেন, আমরা বিকাল ৫ টা ২২ মিনিটে আগুনের সংবাদ পাই। খবর পেয়ে আমাদের ৩টি ইউনিট আগুন নেভানো কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে বিশ্বম্ভরপুর স্টেশন থেকে আরেকটি ইউনিট এসে যোগ দেয়। মোট ৪টি ইউনিট মিলে প্রায় দেড় ঘন্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি। ক্ষয়ক্ষতি ও আগুণের সূত্রপাত তদন্ত পরবর্তীতে জানা যাবে।