শিরোনাম |
দেশের দুটি বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে আগামী মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টি বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার (০২ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেঃ হ্রাস পেতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট এবং ময়মনসিংহ অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে দক্ষিন/দক্ষিন-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দর সমূহকে ০১ নম্বর (পুনঃ) ০১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শনিবার দেশে সর্বোচ্চ ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে নেত্রকোনায়। সেদিন সর্বোচ্চ ৩৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল যশোরে।