শিরোনাম |
❒ ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্তর্বতীকালীন সরকারের সব কার্যক্রম পছন্দসই নাও হতে পারে, তারপরও তাদের ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, এ সরকারের ব্যর্থতা আমাদের সবার ব্যর্থতা। নিজেরা যেন নিজেদের ব্যর্থতার কারণ না হই, সে ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তারেক রহমান বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভুত্থানে পালিয়ে যাওয়া মাফিয়া সরকার দেশের অর্থনীতিকে শুধু ধ্বংস করেনি, প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতাসহ দেশের আপামর জনতা বন্দুকের নলে বুক পেতে বিশ্ববাসীকে দেখিয়েছে স্বৈরাচারীর নিকট তারা মাথানত করতে জানে না। গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ মাফিয়া শাসনতন্ত্র চালু করে দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। লুটপাট এবং টাকা পাচারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে। দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে দলীকরণ করে রাষ্ট্র কাঠামোকে ভেঙে দিয়েছে। স্বৈরাচার পালানোর মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সুবাতাস বইছে। তবে স্বৈরাচারের প্রেতাত্মা এখনো গণতন্ত্রকে ব্যাহত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
তারেক রহমান বলেন, জনগণের সরকার গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকল বিষয়ে সংস্কার কার্যক্রম চালাতে হবে। এবারের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শুধু গণতন্ত্রই নয়, দেশের সার্বভৌমত্বও রক্ষা পেয়েছে। কেউ যদি মনে করে আরো নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন রয়েছে, তাও দোষের কিছু নয়। জনগণের ভালোবাসার মাধ্যমে ধৈর্য সহকারে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন, হাজারো শহীদের রক্তস্নাত এই রাজপথে আজ আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতির অর্থ, ছাত্র-জনতার কাঙ্খিত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার যাত্রাপথে বাংলাদেশের পক্ষের শক্তিকে, হয়তো আরো ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আরো কিছু পথ পাড়ি দিতে হবে। তবে সেই পথ সন্ত্রাস-সংঘর্ষ-প্রতিশোধ কিংবা প্রতিহিংসার নয়। সেই পথ হবে ধৈর্য-সহনশীলতা এবং সমঝোতার। সংস্কার কার্যক্রমের পথ ধরে নির্বাচনী রোডম্যাপে উঠবে দেশ। সুতরাং আসুন, আমরা সবাই কাজের মাধ্যমে জনগণের বিশ্বাস ভালোবাসা অর্জন করি। জনগণের সঙ্গে থাকি। জনগণকে সঙ্গে রাখি।
সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।