শিরোনাম |
‘হায়রে কি গান মাঝি শোনাইল, হায়রে কি বাশি মাঝি বাজাইল, কন্নফুলীর সাম্পানয়ালা আমার মন কাইড়ে নিল’ ম্যালাদিন আগের এই গানডা আবার সুমকি চইলে আইসলো। না কোন গান বাজনার জন্যি না। কন্নফুলীর সাম্পানয়ালারা এইবার সত্যি সত্যি স¹লির মন কাইড়ে নেচে।
রাত্তিরির আন্দারে ত্রিপুরার ডম্বুরা বান্দাল খুইলে দিয়ায় হটাস বইন্নেয় তলায় যায় দেশের পিরায় ১১ডা জিলা। তার মদ্দি সব চাইতে করুন হাল হইলো ফেনীর। ফেনীর এই খবর যকন তামান দেশে ছড়ায় পড়ে তকন স¹লি যে যার মতো সাহায্য নিয়ে ছুইটে গিলেন ফেনী সহ বিভিন্ন জিলায়। তেবে ফেনীতি ত্রান দিয়ার পতে বান্দাল ছিল বইন্নের কবলে পড়া এলেকায় মাল সামেনা নিয়ে যাওয়ার যানবাহনের। বুইড়ে যাওয়া এলেকায় নৌকো ছাড়া আর কোন গতি ছিল না। এই খবর কানে যাওয়ার সাতে সাতে চট্টগিরামের কন্নফুলী উপজিলার ৩০০ সাম্পান মাঝি টিরাকে কইরে তাইগের সাম্পান নিয়ে ঝাপায় পড়িলেন ফেনীতি। গ্যালো ২২ আগস্টেত্তে শুরু কইরে কন্নফুলী নদীর সদরঘাট, অভয়মিত্রঘাট, বাংলাবাজার ঘাট, ফেরিঘাটসহ বিভিন্ন খিয়া পারাপারের ঘাটত্তে ইঞ্জিনলাগানো সাম্পান ও স্পিডবোট ফেনীতি নিয়ে যাইয়ে নামমাত্তর ভাড়ায় বইনের কবলে পড়া মানসির জন্যি দিন রাইত কাজ কইরেচেন সাম্পান মাঝিরা।
কন্নফুলী নদী সাম্পান চালক কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এসএম পিয়ার আলী চাচা কইয়েচেন, পানিবন্দি মানসির জীবন বাচাতি আমাগের সাম্পান মাঝিগের কাচে ডাক আসে। সেই ডাকে সাড়া দিতি মাঝিরা কালক্ষেপন করিনি। মাঝিরা ছুইটে যাইয়ে স্বিচ্ছাসেবীগের সঙ্গে কান্দে কান্দ মিলোয়ে পানিবন্দিগের উদ্দার আর ত্রাণ কাজে কাজে লাইগে পড়েন। উদ্দারকাজে অংশ নিয়া মাঝি নুরুল আবছার চাচা জানান, কন্নফুলী নদীতি চিরচিনা পতে ঘড়ি ধরা সুমায়তি নৌকো চালাই। তেবে ফেনীর বইন্নে এলেকায় আইসে টানা তিনদিন সাম্পান চালায়চি। খাওয়া ঘোম ঠিক না থাকলিও মনের মদ্দি এট্টা সুখ ছিল দেশের জন্যি কিচু এট্টা কত্তি পাচ্চি।
তাইগের এই সব কতা শুইনে খুশিতি চোকির কুনা ভিজে যাতি লাইগলো। দেশের জন্যি সবাই যদি ইরাম একাট্টা থাকি তেবে আমাগের সুমকি আইগোনো ঠেকায় কিডা।
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা