শিরোনাম |
বলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা ঋষি কাপুরের জন্মবার্ষিকী আজ। তিনি একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা প্রযোজক এবং পরিচালক যিনি হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজের জন্য সুপরিচিত।
ঋষি কাপুর ৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৫২ সালে তিনি মুম্বাইয়ের চেম্বুর শহরে একটি পাঞ্জাবি হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মনাম হল ঋষি রাজ কাপুর। তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক এবং নায়ক রাজ কাপুরের দ্বিতীয় পুত্র সন্তান। তিনি মুম্বাইয়ের ক্যামশন স্কুলে ভাইয়ের সাথে স্কুল জীবন এবং আজমিরের মায়ো কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা লাভ করেন। তার দুই ভাই জ্যেষ্ঠ রণধীর কাপুর এবং কনিষ্ঠ রাজীব কাপুরও বলিউড অভিনেতা ছিলেন।
১৯৭০ সালে তার পিতা রাজ কাপুরের পরিচালিত চলচ্চিত্র মেরা নাম জোকারে শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় করে তিনি আত্মপ্রকাশ করেন। সেরা শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও জিতে নেন তিনি। পরবর্তীকালে ববি চলচ্চিত্রে ডিম্পল কাপাডিয়ার সাথে প্রথম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান এবং ১৯৭৪ সালে ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন। এর পর এক এক করে চান্দিনী (১৯৮৯), দিওয়ানা (১৯৯২), নাগীনা (১৯৮৬), মেরা নাম জোকার (১৯৭০), আমার আকবর এন্টনী (১৯৭৭), প্রেম রোগ (১৯৮২), দা বডী (২০১৯ ), প্রেম গ্রান্থ (১৯৯৬)। তিনি ৯২টিরও বেশী রোমান্টিক এবং অন্যান্য ঘরানার চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেন।
১৯৮০ সালের ২২ জানুয়ারী তারিখে ঋষি কাপুর অভিনেত্রী নীতু সিংকে বিয়ে করেন। এই সুখী দম্পতির দুইটি সন্তান রয়েছে; অভিনেতা রণবীর কাপুর ১৯৮২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন এবং ডিজাইনার রিধিমা কাপুর সাহানি ১৯৮০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।
পুরস্কার : ১৯৭০ – বাংলা চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার: বিশেষ পুরস্কার, এবং মেরা নাম জোকার চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০০৯ – চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য রাশিয়া সরকার কর্তৃক সম্মান প্রদান। ২০১০ – অপ্সরা ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন প্রযোজক গিল্ড অ্যাওয়ার্ডস: লাভ আজকাল চলচ্চিত্রে সহ-অভিনেতা শ্রেষ্ঠ অভিনেতা। ২০১১ – জি সিনে পুরস্কার: শ্রেষ্ঠ আজীবন জোড়ি নিতু সিং এর সাথে। ২০১৩ - দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া চলচ্চিত্র পুরস্কার (টিওআইএএফএ), অগ্নিপথ চলচ্চিত্রে খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার। ২০১৬ - স্ক্রিন আজীবন সম্মাননা পুরস্কার।
ঋষিকাপুর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৩০ এপ্রিল, ২০২০ সালে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি আজ ইহলোকে না থাকলেও দর্শকের হৃদয়ে তার স্থান চিরন্তন।