শিরোনাম |
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া তথ্য ও ছবির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। নতুন করে এ তালিকায় যোগ হয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের ফটোকার্ড ব্যবহার। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে অনেক নিউজ বা ফটোকার্ড প্রকাশিত বা প্রচারিত হচ্ছে না। উদ্দেশ্যমূলক ভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের লোগো ও ফটোকার্ডের ডিজাইন নকল করে তৈরি হচ্ছে ভুয়া ফটোকার্ড । এমন অনেক তথ্য আছে যা ইতোমধ্যে ভুয়া প্রমানিত হয়েছে তার পরও থামছেনা এ তথ্যের প্রচার।
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ০৮ আগস্ট দেশে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এ কয়েকদিনে সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টার উদ্বৃতি নিয়ে সংবাদ শিরোনাম হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে ‘১ সেপ্টেম্বর থেকে সকল মসজিদ এবং মাদ্রাসার কারেন্ট বিল ফ্রি ডা. ইউনূস’ শিরোনামে গত ১৭ আগস্ট তারিখের যমুনা টেলিভিশন এর ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
এর পর ১৮ আগস্ট যমুনা টিভির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে প্রচারিত এক পোস্টে ‘১ সেপ্টেম্বর থেকে সকল মসজিদ এবং মাদ্রাসার কারেন্ট বিল ফ্রি ডা. ইউনূস’ শীর্ষক শিরোনামে যমুনা টিভি কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বলে জানানো হয়। অর্থাৎ যমুনা টিভির ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়। এটা যে ভুয়া তথ্য তাও অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন। কিন্তু তারপরও থেমে নেই এই ভুয়া তথ্যের প্রচার। ২০ আগস্টের পর বিভিন্ন ফেসবুক পেজ ও অ্যাকাউন্টে যমুনা টিভির আদলে তৈরি আলোচিত ফটোকার্ড ব্যবহার না করলেও তথ্য সুত্র যমুনা টিভি উল্লেখ করে এই ভুয়া তথ্য শেয়ার ও প্রচার করতে দেখা গেছে। যশোরের বিভিন্ন ফেসবুক ব্যবহারকারীও এ তথ্য এখনও শেয়ার করছেন। যদিও এ ধরনের মন্তব্য এখনো প্রধান উপদেষ্টা করেননি।