gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ১ জুলাই ২০২৫ ১৬ আষাঢ় ১৪৩২
gramerkagoj
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের তুলে নেওয়ার চেষ্টা, বাধা হয়ে দাঁড়ান শিক্ষকরা
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট , ২০২৪, ০৭:৩০:০০ পিএম
রাজশাহী ব্যুরো:
GK_2024-08-01_66ab9188d9bb4.jpg

সারাদেশে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে লাল কাপড় মুখে বেঁধে মৌন মিছিল করছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক নেটওয়ার্ক। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা মৌন মিছিলে অংশ নেয়। মিছিল শেষে শিক্ষার্থীদেরকে জোর করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালায় সিভিল ড্রেসে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
দেখা যায়, সারা দেশে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে লাল কাপড় মুখে বেঁধে রাবির শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বর থেকে মৌন মিছিল বের করেন শিক্ষক নেটওয়ার্ক। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরের সামনে গেলে পুলিশ হামলা চালায়। তবে শিক্ষকরা বাঁধা হয়ে দাঁড়ালে শিক্ষার্থীদের আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রদের মাঝে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
ছাত্রদের অভিযোগ, তারা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করতে এসেছিলেন। কিন্তু মৌন মিছিল শেষে হঠাৎ করে তাদেরকে জোর করে তুলে নিতে চাইলে তারা শিক্ষকদের সহযোগিতা চান। এ সময় তাদের দু’জনকে আটক করা হয়েছে বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।
এ বিষয়ে জানতে বারীন্দ্র মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী লাবণ্য বলেন, আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে মৌন মিছিলে অংশ নিয়েছিলাম। সিভিল ড্রেসে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদেরকে আঘাত করে। আমার ভাইদের বিনা কারণে জোর করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। আমাদের অপরাধ কি? আমরা কোনো মামলার আসামি না তাহলে কেন আমাদের আটক করবে। আমরা সমন্বয়কদের সঙ্গে কথা বলে আজকের এই মৌন মিছিলে এসেছিলাম।
মৌন মিছিলে অংশ নেওয়া গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিক্ষার্থীদের আটক করার কোনো নথিপত্র নেই। সন্দেহের বশে কাউকে আটক করা অন্যায়। এমনটা কখনোই করতে পারেন না। এরপরে যদি কোনো ছাত্রের গায়ে হাত পড়ে এবং আমার সহকর্মীদের গায়ে আঘাত লাগে, এটা কিন্তু আমরা মেনে নেব না। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসবে, তাই বলে পুলিশ প্রশাসন ওপেনলি কোনো শিক্ষার্থীকে এভাবে তুলে নিতে পারে না। তাদের নামে কোনো মামলা নেই যে তারা আসামি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, আমরা পুলিশ প্রশাসনকে ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করতে বলি। তবে যদি কোনো বহিরাগত শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে তাহলে পুলিশ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করুক। বর্তমানে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বাসায় আছে। কোনো ছাত্রের হয়রানি হোক আমরা এমনটা কখনোই চাই না। আমরা জানতে পেরে সব শিক্ষার্থীকে কাজল গেট পর্যন্ত নিয়ে তাদেরকে গাড়িতে তুলে দেই।

আরও খবর

🔝