gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ২৯ কার্তিক ১৪৩২
gramerkagoj
শিরোনাম
শিরোনাম মণিরামপুরে ইটভাটার মেশিনে আটকা পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু আশাশুনিতে সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান গাইবান্ধায় পাইলট প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান মোংলায় খালেদা জিয়ার নামে স্কুল, কলেজ ও বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণে বিএনপি নেতার উদ্যোগ সভাপতি পদে দুই ও সম্পাদক পদে চারজনসহ ২৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা, আওয়ামীপন্থীরা মাঠে নেই আগামীকাল উদ্বোধনী ম্যাচে লড়বে উপশহর ও ফতেপুর জোড়া গোলের জয়ে সেমিতে চৌগাছা পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন পেতে দুই হাজারের বেশি আবেদন সরকারকে জিম্মি করে দাবি আদায়কারীরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

❒ নরসিংদী কারাগারে হামলা-ভাঙচুর

দায়িত্বে অবহেলায় সুপার ও জেলারসহ ৮২ কারারক্ষী বরখাস্ত
প্রকাশ : বুধবার, ৩১ জুলাই , ২০২৪, ১০:৪৩:০০ পিএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2024-07-31_66aa6fe6f1b20.jpg

নরসিংদী কারাগারে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, অস্ত্র-গুলি লুটসহ ৮২৬ আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কর্মকর্তাসহ সব কারারক্ষীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে পাঁচ কর্মকর্তাসহ ৮২ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এদের মধ্যে জেল সুপার ও জেলারকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ও বাকি ৭৭ জনকে কারা অধিদপ্তর থেকে সাময়িক বরখাস্থ করা হয়েছে।
নরসিংদী কারাগারে সদ্য যোগদান করা জেলার আবু ইউসুফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অন্যদিকে কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৮২৬ বন্দির মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৯২ জন স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
জেলার আবু ইউসুফ জানান, কারাগারে হামলার পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে জেলার, ডেপুটি জেলার ও জেল সুপারসহ পাঁচ কর্মকর্তা এবং ৭৭ কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭৭ জন কারারক্ষীকে কারা অধিদপ্তর, ডেপুটি জেলার ও দুই সুবেদারকে ডিআইজি প্রিজন ও জেলার ও জেল সুপারকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর জেলার ও জেল সুপারকে এবং সোমবার (২৯ জুলাই) ৭৭ কারারক্ষীসহ বাকিদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
নরসিংদী আদালতের পরিদর্শক ওহেদুজ্জামান বলেন, নরসিংদী কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৮২৬ বন্দির মধ্যে বুধবার পর্যন্ত ৫৯২ জন স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে তাদের বিভিন্ন কারাগারে পাঠানো হয়।
কোটা আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই নরসিংদী কারাগারে হামলা চালায় কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। ওইসময় তারা কারাগারের প্রধান ফটক ভেঙে জেল সুপার, জেলার অফিস, পুলিশ ব্যারাকসহ কারাগারের ভেতরে অগ্নিসংযোগ করে। পরে তারা অস্ত্রাগার থেকে ৮৫টি অস্ত্র এবং সাড়ে ৮ হাজার রাউন্ড গুলি ও খাবার লুট করে নিয়ে যায়।
ওইসময় জেলে থাকা আনসারুল্লাহ বাংলা ভাই জঙ্গি সংগঠনের ৯ সদস্যসহ ৮২৬ আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু হওয়া ধ্বংসযজ্ঞ চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। ওইসময় কারাগারের ভেতরের বিভিন্ন প্রান্তে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা।

আরও খবর

🔝