gramerkagoj
বুধবার ● ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩ মাঘ ১৪৩১
gramerkagoj
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒ হামিদপুরে বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট

জেলা আ’লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ ৭ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ
প্রকাশ : বুধবার, ৩১ জুলাই , ২০২৪, ১০:১৮:০০ পিএম
কাগজ সংবাদ:
GK_2024-07-31_66aa647238f8e.jpg

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে ফতেপুর ইউনিয়নের হামিদপুরে আসাদুজ্জামানের বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ সাত দিনের মধ্যে আমলে নিয়ে তা নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত ২৪ জুলাই বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে বেঞ্জ এ বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ আদেশের অনুলিপি যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয় ও যশোর কোতোয়ালি থানা বরাবর পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসাদুজ্জামানের আইনজীবী মোহাম্মদ শাহীন হাওলাদার। এর আগে আসাদুজ্জামান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, তার ছেলে সামির ইসলাম পিয়াস ও মাস্টার নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে তার বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করেন কোতোয়ালি থানায়। পরবর্তীতে তিনি পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেন। সেখান থেকেও কোনো সহায়তা পাননি। গত ২ জুলাই তিনি আইজিপি বরারব অভিযোগ করেন। তাতেও কোনো ফলাফল না পাওয়া তিনি উচ্চ আদালতে রিপ পিটিশন দাখিল করেন।
আসাদুজ্জামানের অভিযোগ, ১৯৯৩ সালে ব্যাংকের নিলামের মাধ্যমে জমিটি কিনে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছিলেন তিনি। এই জায়গার সাবেক মালিক নুরুল ইসলাম। তিনি এই জায়গা শিল্প ব্যাংকে মর্টগেজ দিয়েছিলেন। ওই ব্যাংক এই জায়গা নিলামে বিক্রি করলে তিনি তা কেনেন। গত বছর নুরুল ইসলামের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন এই জমি দখলের জন্য তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আসেন। নুরুল ইসলাম শহিদুল ইসলাম মিলনের বেয়াই হন। সেই জেরে গত ২৭ জুন আবারও তারা আসাদুজ্জামানের বাড়িতে হানা দেন। এসময় আটটি বসতঘর স্কেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। লুট করা হয় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, গবাদিপশু, ধান ও গম।
আসাদুজ্জামান এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম মিলন, তার ছেলে পিয়াস ও মাস্টার নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি। পরবর্তীতে তিনি এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। যা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। এমনকী পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগও দেন তিনি। কিন্তু কিছুতেই তিনি ন্যায় বিচার পাননি। বাধ্য হয়ে আইজিপি বরাবর অভিযোগ পরবর্তীতে হ্ইাকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন।
পিটিশনে আরও উল্লেখ করা হয়, শহিদুল ইসলাম মিলন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। এছাড়া কোতোয়ালি থানার ওসির সাথেও তার সখ্যতা রয়েছে। ফলে তিনি মামলা রেকর্ড করছেন না। তিনি পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে উল্লেখ করেন।
আসাদুজ্জামানের আইনজীবী মোহাম্মদ শাহীন হাওলাদার জানান, হাইকোর্টে পিটিশন দাখিলের পরই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেয় আদালত। মূলত আসাদুজ্জামান যশোরে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ফলে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেছেন। উচ্চ আদালত শুনানি শেষে তার অভিযোগ আমলে নিয়ে সাত দিনের মধ্যে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নিস্পত্তির নির্দেশনা দিয়েছেন।
যশোরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, এ বিষয়ে তিনি এখনো কোনো নির্দেশনা পাননি। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আসলে অবশ্যই সেই নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝