শিরোনাম |
জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের জন্মদিন আজ। জীবনের পরতে পরতে নাটকীয়তা নিয়ে চলা সঞ্জয় কিন্তু অভিনয় জগতে এখনও নিজের জায়গায় একদম আলাদা। তিনি তাঁর মত। নিজের একটা আলাদা পরিচয় তাঁর। তিনি সঞ্জয় দত্ত। তিনি ২৯ জুলাই, ১৯৫৯ সালে ভারতের মুম্বাইতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অভিনয়শিল্পী দম্পতি সুনীল দত্ত ও নার্গিস দত্তের সন্তান।
১৯৮১ সালে রকি চলচ্চিত্রে অভিষেকের পর তিনি ১৮০-এর অধিক হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। যদিও দত্ত প্রণয়ধর্মী থেকে শুরু করে হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করে সফলতা অর্জন করেছেন, নাট্যধর্মী ও মারপিঠধর্মী চলচ্চিত্রে গ্যাংস্টার, গুন্ডা ও পুলিশ অফিসার চরিত্রে অভিনয় করে তিনি বেশি সমাদৃত হয়েছেন। এইসব চরিত্রে তার কাজের জন্য ভারতীয় গণমাধ্যম ও দর্শক তাকে "ডেডলি দত্ত" বলে অভিহিত করে। তার অভিনীত চলচ্চিত্রসমূহের মধ্যে খলনায়ক (১৯৯৩), বাস্তভ - দি রিয়েলিটি (১৯৯৯), মুন্না ভাই এম.বি.বি.এস. (২০০৩), কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু (২০২২) অন্যতম। তিনি আমির খানের সাথে মিলে ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত পিকে ছবিতে অসাধারণ এক পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেন।
৩৭ বছরের অধিক চলচ্চিত্র জীবনে তিনি দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, দুটি আইফা পুরস্কার, দুটি বলিউড মুভি পুরস্কার, দুটি স্ক্রিন পুরস্কার, তিনটি স্টারডাস্ট পুরস্কার ও একটি করে গ্লোবাল ইন্ডিয়ান ফিল্ম পুরস্কার ও বঙ্গ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার অর্জন করেছেন।
১৯৮০-এর দশকের শুরুতে তিনি তার প্রথম চলচ্চিত্রের সহশিল্পী টিনা মুনিমের সাথে সম্পর্ক গড়েন। তাদের সম্পর্কের সমাপ্তির পর তিনি ১৯৮৭ সালে অভিনেত্রী ঋচা শর্মাকে বিয়ে করেন। ঋচা ১৯৯৬ সালে মস্তিকের টিউমারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
সঞ্জয় ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিমানবালা থেকে মডেল হওয়া রিয়া পিল্লাইকে বিয়ে করেন। ২০০৫ সালে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায় এবং ২০০৮ সালে তা বিবাহবিচ্ছেদে রূপ নেয়। এরপর সঞ্জয় ২০০৮ সালে গোয়াতে গোপন এক অনুষ্ঠানে মান্যতা দত্তের (দিলনেওয়াজ শেখ) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের আগে তারা দুই বছর প্রেম করেছিলেন। ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর তারিখে সঞ্জয় আর মান্যতা জমজ ছেলেমেয়ের পিতামাতা হন।১৯৯৩ সালে মুম্বই শহরে ধারাবাহিক বোমা হামলা হয়। গুজব উঠেছিল বলিউডের যারা এই হামলার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন সঞ্জয় দত্ত তাদের একজন। প্রমাণ মিলে যে দত্ত মুম্বই বোমা হামলার সাথে জড়িত আবু সালেম ও রিয়াজ সিদ্দিকীর কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র এনে তার বাড়িতে রাখেন। অভিযোগ ওঠে এই অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসীদের বড় অস্ত্র হস্তান্তরের সাথে জড়িত ছিল। দত্ত তার স্বীকারোক্তিতে বলেন তিনি তার সনম চলচ্চিত্রের প্রযোজকের নিকট থেকে তার নিজের পরিবারের নিরাপত্তার জন্য একটি একে-৫৬ রেখেছিলেন।
১৯৯৩ সালের এপ্রিলে সন্ত্রাসী ও সংহতি নাশমূলক কর্মকাণ্ড (সংরক্ষণ) আইনের অধীনে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৯৩ সালের ৫ই মে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তার জামিন মঞ্জুর করে, কিন্তু ১৯৯৪ সালের ৪ঠা জুলাই তার জামিন বাতিল করা হয় এবং তাকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয়। ১৯৯৫ সালের ১৬ই অক্টোবর তিনি জামিনে ছাড়া পান।