শিরোনাম |
যশোরের চৌগাছা উপজেলার সাঞ্চাডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিনটি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে, স্বরুপদাহ ইউনিয়নের সাঞ্চাডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক, আয়া ও নিরাপত্তাকর্মী পদে নিয়োগ হওয়ার কথা ছিল। স্কুল পরিচালনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষক শূন্যপদে লোক নিয়োগে ২০২২ সালে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশসহ সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করে। কিন্ত একটি পক্ষ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা করেন। ফলে মামলা জটিলতায় ওই সময় নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়। এরই মধ্যে এক প্রকার হঠাৎ করেই ওই তিনটি পদে লোক নিয়োগে প্রস্তুুতি নেয় কর্তৃপক্ষ। সে অনুযায়ী ২৭ জুলাই শনিবার ছিল নিয়োগ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের নির্ধারিত দিন। সকালে সম্ভাব্য প্রার্থী, তাদের স্বজন, স্কুল পরিচালনা পরিষদের নেতৃবৃন্দ, প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্টরা হাজির হন বিদ্যালয়ে। কিন্তু সকাল ১০টার দিকে নিয়োগ স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ।
একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, তিনটি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ তিনজন প্রার্থীকে আগেই চূড়ান্ত করেন এবং তাদের নিকট হতে মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্য করা হয় বলে এলাকায় অভিযোগ ওঠে। যেহেতু পূর্বে একটি নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায় সেই নিয়োগের কাগজপত্র ঘষেমেজে তারিখ পরিবর্তন করা হয়। এমনকি কমিটির সাধারণ সদস্যদের ভুল বুঝিয়ে রেজুলেশনে স্বাক্ষর নিয়ে যেনতেনভাবে নিয়োগ সম্পন্ন করতে চেয়েছিলেন বলে স্থানীয়রা জানান। যথারীতি উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্টরা নিয়োগ বোর্ডে হাজির হন। পরবর্তীতে বিষয়টি উপস্থিত কর্মকর্তাদের নজরে এলে তারা নিয়োগ স্থগিত করেন। তড়িঘড়ি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া তৈরি করা ও স্থগিতের বিষয় নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে কয়েকজন অভিভাবক জানান, দেশ একটি সংকটে রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকারিভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যেই নিয়োগের দিন ঠিক করা আদৌ উচিৎ হয়নি।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমানের কাছে জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি স্বরুপদাহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিধিমোতাবেক সকল নিয়ম মেনেই নিয়োগের ব্যবস্থা করা হলেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম মো. রফিকুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ার কিছু সমস্যার কারণে আপাতত নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে।