শিরোনাম |
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিনে আকস্মিক ঝড়ের কবলে পড়ে নাম বিহীন ৫টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। মাঝি ওবায়দুল গাজী ট্রলার বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে জাল ফেলার সময় আকস্মিক ঝড় এবং উওাল ঢেউয়ের তোরে পড়ে ট্রলার ডুবে যায়। ট্রলার এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছে। ট্রলার ডুবির ঘটনার প্রায় দুই ঘন্টা পর সাগরে ভাসমান অবস্থায় এ সময় কাছাকাছি থাকা অন্য ট্রলার জেলেদের উদ্ধার করলে ইমন নামে এক জেলেকে উদ্বার করতে পারেনি। এখন ও পর্যন্ত তার খোঁজ মেলেনি। তার বাড়ী মৌডুবী ইউনিয়নে কেওরালা গ্রামে। ট্রলারের মালিক ওবায়দুল গাজী বাড়ী মৌডুবী ইউনিয়নে।
মাঝি সোহরাফ গাজী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে জাল ফেলার সময় আকস্মিক ঝড় এবং উওাল ঢেউয়ের তোরে পড়ে ট্রলার ডুবে যায়। ভাসমান অবস্থায় এ সময় কাছা কাছি থাকা অন্য ট্রলার তাদের কে উদ্ধার করলে ও ট্রলার উদ্বার করতে পারেনি। সোহরাফ গাজী বাড়ী কলাপাড়া উপজেলা পাটুয়া এলাকায়।
মাঝি রাজ্জাক মাতুব্বর জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে জাল ফেলার সময় আকস্মিক ঝড় এবং উওাল ঢেউয়ের তোরে পড়ে ট্রলার ডুবে যায়। সাগরে ভাসমান অবস্থায় এ সময় কাছাকাছি থাকা অন্য ট্রলার তাদেরকে ও ট্রলার উদ্ধার করে। ট্রলারের মালিক রাজ্জাক মাতুব্বর বাড়ী কলাপাড়া উপজেলা পাটুয়া এলাকায়।
আলীপুর মৎস্য বন্দর ট্রলার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি ও মের্সাস মনি ফিসের মালিক জলিল মিয়া জানান, মঙ্গল-বুধবার সকালে ট্রলারটি ছেড়ে যায়। জাল ফেলার সময় আকস্মিক ঝড় এবং উওাল ঢেউয়ের তোরে পড়ে ট্রলার ডুবে যায় বলে উদ্ধার হওয়া জেলেরা তাকে জানিয়েছেন। এতে প্রায় দশ থেকে পনের লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন মাঝিরা ট্রলার ও নিখোঁজ উদ্বারের খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলে তিনি জানান। উদ্ধার হওয়া জেলেদের বিভিন্ন জায়গায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
মহীপুর মৎস্য বন্দর ট্রলার মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি হাজী ফজলু গাজী জানান, ৬৫দিনের মাছ ধরার নিষেধাঙ্ঞা শেষ হলে ও সাগরে যেতে পারেনি উপকুলের সহস্রধীক মাছ ধরার ট্রলার। এসব ট্রলার ৬৫দিনের মাছ ধরার নিষেধাঙ্ঞা শেষ যাওয়ার প্রস্তুতি সময় বৈরি আবহাওয়ার কারনে। এখন তারা অপেক্ষা করছেন অনুকুল আবহাওয়ার।