gramerkagoj
রবিবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
gramerkagoj
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒ কারফিউতে দিনযাপন

চট্টগ্রামের নিত্যপণ্যের বাজারে ক্রেতা কম
প্রকাশ : শনিবার, ২৭ জুলাই , ২০২৪, ১০:৫৬:০০ এএম
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
GK_2024-07-27_66a4791bdbf9c.jpg

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশব্যাপি জারি করা কারফিউর কারণে চট্টগ্রামের বাজারেও সব ধরনের নিত্যপণ্যের সরবরাহ কম। তবে ক্রেতাদের আনাগোনা কম থাকায় দামে সেরকম প্রভাব পড়েনি। আগের দামে প্রায় সবজি বেচাকেনা চলছে। কিছুটা দাম চড়া পাড়ার অলিগলির ভ্যানে। তবে কাঁচা মরিচের ঝাল সবখানে আগের চেয়ে বেশি। চট্টগ্রাম নগরীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
দেখা যায়, কারফিউ শুরু হওয়ার আগের দিন সবজি বাজারে পিঁয়াজ ১শ-১০৫, কাঁচা মরিচ ১৫০-২শ, আলু ৫৫-৫৬, বেগুন ৬৫-৭০, কাঁচা পেঁপে ৬০-৬৫, ক্ষিরা ৬০-৬৫, শশা ৬৫-৭০, কচুরলতি ৫৫-৬০, বরবটি ৮৫-৯০, পটল ৪০-৪৫, ঢেরস ৫০-৫৫, চালকুমড়া ৪৫-৫০, মিষ্টিকুমড়া ২৫-৩০, লাউ ৪০-৪৫, মুখিকচু ৬৫-৭০, করলা ৭০-৯০, কাঁকরোল ৭৫-৮০, ঝিংগা ৬৫-৭০, ধুন্দল ৫৫-৬০, চিচিংগা ৪৫-৫০, টমেটো ৯০-১শ, বাঁধাকপি ৩০-৪০, মূলা ৪০-৪৫, গাজর ৯০-১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
অন্যদিকে দেশি মুরগি ৫৮০-৬২০, সোনালী মুরগি ৩২০-৩২৫, ব্রয়লার মুরগি ১৬৫-১৭০, গরু (হাড়সহ) ৭৫০-৮শ, গরু (হাড় ছাড়া) ৮৫০-৯শ, খাসী (দেশি) ১০৫০-১১শ, রুই (দেশি) ২৮০-৩২০, রুই (আমদানি) ৩শ-৩৫০, কাতল (দেশি) ২৭০-৩শ, কাতল (আমদানি) ৩শ-৩২০, পাঙ্গাস ১৬০-১৮০, পোয়া মাছ ২শ-২৮০ টাকায় বিক্রি হয়।
বর্তমানে দামের তফাৎ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সবজির বাজারে। এর মধ্যে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪শ টাকায়। পিঁয়াজ ১১০-১২০, আলু ৬০-৬৫ টাকায়, বেগুন ৫০-৮০, কাঁচা পেঁপে ৫০-৬০, শশা ৬৫-৭০, কচুরলতি ৫৫-৬০, বরবটি ৬০-৯০, পটল ৫৫-৭০, ঢেরস ৫০-৫৫, চালকুমড়া ৪৫-৫০, মিষ্টিকুমড়া ৩০-৫০, লাউ ২৫-৪০, করল্লা/উচ্ছে ৬০-৯০, কাঁকরোল ৭০-৮০, ঝিংগা ৬৫-৭০, ধুন্দল ৫৫-৬০, চিচিংগা ৪৫-৫০, টমেটো ৯০-১শ, বাঁধাকপি ৩০-৪০, গাজর ১শ-১২০, রসুন ২শ এবং আদা ২৮০-৩শ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
মাছের বাজারে কেজিপ্রতি রুই ৩৮০-৪শ, পাঙ্গাশ ২শ, তেলাপিয়া ২২০-২৬০, দেশি টেংরা ৮শ ও পাবদা ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির মধ্যে চাহিদা বেশি ব্রয়লার মুরগির। এর কেজি প্রতি দাম রাখা হচ্ছে ১৬৫-১৭০ টাকা। তবে স্বস্তি ফিরেছে ডিমের বাজারে। ডিমের ডজন ১৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।
বাজার দর নিয়ে কথা হলে কাজীর দেউরী বাজারের বিক্রেতা আলম বলেন, ‘এটি ঠিক যে কারফিউ জন্য আমাদের পরিবহন খরচ বেড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে গাড়িও ঠিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু ক্ষেত্রে গাড়ি পেলেও কয়েক দফায় ভেঙে ভেঙে বাজারে পণ্য তুলতে হয়েছে। সে অনুপাতে দাম খুব একটা বাড়েনি। কারণ এ সময়ে মানুষ বাজারে খুব কম এসেছে। ঘরে যা আছে, তা নিয়ে সপ্তাহ পার করেছে। কার্ফিউ যদি আরও কিছুদিন চলে বা মানুষের যোগান ফুরিয়ে যাওয়ায় সবাই একসঙ্গে বাজারে এলে তখন কিছুটা দাম বাড়তে পারে।’
কর্ণফুলী বাজারের বিক্রেতা মোশাররফ বলেন, ‘দামের মধ্যে কাঁচা মরিচের দামটাই বেড়েছে। এছাড়া প্রায় সব পণ্যের দাম একই আছে। কিছু পণ্যের দাম ৫-১০ টাকা বেড়েছে, আবার কিছু পণ্যের দাম ৫-১০ টাকা কমেছে। সমস্যাটা হলো- দাম যা বাড়ার তা আগেই বেড়েছে। তাই ক্রেতারা বাজারে এসে যে কোনো জিনিস নেওয়ার আগেই বিরক্ত হয়ে যায়। তবে এই সময়ে কোনো পণ্যের দাম বাড়ার কোনো কারণ দেখছি না। অনেকে ভ্যানে করে ঘরের সামনে গিয়ে সবজি বিক্রি করেন। তারা দাম সুযোগ বুঝেই বেশি রাখেন।’
নগরীর রিয়াজ উদ্দিন বাজারে আসা ক্রেতা আজিজ বলেন, সবসময় ব্যবসায়ীদের অজুহাত। আন্দোলন আর কারফিউ চলমান থাকার অভিযোগ করে পণ্যের ঘাটতির কথা বলে সব পণ্য কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি করছে।
এদিকে, টিসিবির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি শুরু করছে। সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্য তেল, ২ কেজি মসুর ডাল ও ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন কার্ডধারী ব্যক্তিরা। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১শ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ৬০ টাকা ও প্রতি কেজি চালের দাম নেওয়া হবে ৩০ টাকা।
বাজার দর সম্পর্কে জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজার দর পরিদর্শক আবু বক্কর বলেন, ‘চট্টগ্রাম মূলত আমদানি নির্ভর অঞ্চল। এখানে কোনো পণ্যের পর্যাপ্ত উৎপাদন হয় না। প্রায় সব পণ্য বাইরে থেকে আসে। আর বাইরে থেকে আসার চেইনটা (শৃঙ্খল) ঠিকঠাক আছে। এছাড়া প্রায় সব পণ্যে সরবরাহ ও মজুদ ঠিকঠাক আছে। তাই এখন বাজারে দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।’

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝