শিরোনাম |
যশোরের কেশবপুরের পোড়াডাঙ্গা গ্রামের বিধবা রহিমা বেগম আত্মহত্যা প্ররোচণা মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী এসআই মহসিন আলী।
অভিযুক্তরা হলেন পোড়াডাঙ্গা গ্রামের বরুন দত্ত, মান্নান ফকির, ইছাহাক ফকির ও তার স্ত্রী রিনা বেগম।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০ বছর আগে পোড়াডাঙ্গা গ্রামের ইছানুর রহমানের সাথে রহিমা বেগমের বিয়ে হয়। বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হওয়ার পর রহিমা বেগম সন্তানদের নিয়ে শ^শুর বাড়ি বসবাস করতেন। ২০২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে মৃত ইছানুর রহমানের বাড়ির সামনের রাস্তায় বরুন দত্তকে থামিয়ে নানা বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মান্নান ও ইসহাক। এ সময় বরুন তাদের জানান রহিমা বেগম তাকে ফোন করে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসেছে। এরপর তারা বরুনকে আক্তার হোসেনের বাড়িতে ধরে নিয়ে রহিমা ও তার শ্বাশুর বাড়ির লোকজনকে ওই বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে। পরে সকলে মিলে রাহিমা বেগম ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে গ্রাম ছাড়ার জন্য চাপ দেন।
এছাড়াও, আসামি রিনা বেগম মারপিট করে রাহিমা বেগমকে। পরবর্তীতে আসামিদের দেওয়া অপবাদ দেওয়ায় বাড়ি ফিরে ক্ষোভে, দুঃখে রহিমা বেগম গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় রহিমা বেগমের ভাই চলিশিয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ বিশ্বাস বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচণায় চারজনকে আসামি করে কেশবপুর থানায় মামলা করেন।