শিরোনাম |
বরিশালের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়ছে। গুরুত্বপূর্ণ ১২টি নদীর মধ্যে ১০টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও আরও দুইটি নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বরিশাল নগরীসহ অন্যান্য জেলা ও উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
আজ শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ মোট ১৯টি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টার রিপোর্ট অনুযায়ী ১০টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বিভাগের নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেলেও তা ভাটায় আবার নেমে যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বরিশাল জেলার কীর্তনখোলা নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার ও ঝালকাঠির বিষখালী নদী বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা পয়েন্টে বিষখালী নদী ২৪ সেন্টিমিটার, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার মেঘনা নদী ৮৯ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিন উপজেলার মেঘনা ১ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার পায়রা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার, বরগুনা সদর উপজেলার বিষখালী নদী ২১ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী নদী ৭ সেন্টিমিটার, পিরোজপুর জেলার বলেশ্বর নদী ১৫ সেন্টিমিটার ও উমেদপুর পয়েন্টে কচা নদী বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার পায়রা ও ভোলা খেয়াঘাট এলাকায় তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ, হিজলা, মুলাদী, মেহেন্দীগঞ্জ, বাকেরগঞ্জ, পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী, দুমকি, মির্জাগঞ্জ, গলাচিপা, বাউফল, বরগুনা জেলার সদর, পাথরঘাটা, বেতাগী, আমতলী, তালতলী, ভোলা জেলার সবগুলো উপজেলা, পিরোজপুর জেলার সদর, মঠবাড়িয়া, নেছারাবাদ, কাউখালী, নাজিরপুর, ঝালকাঠি সদর, নলছিটিসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার বৃহদাংশ ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় অনেকের বসত-ঘরে পানি ঢুকে গেছে। এতে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা।
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার আন্ধারমানিক নদী তীরবর্তী বাসিন্দা আরশাদ আলী বলেন, মঙ্গলবার থেকেই নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। আমরা যারা বেড়িবাঁধের বাইরে থাকি তাদের ঘরে পানি ঢুকে গেছে। এজন্য বাধের কূলে এক ঘরে আশ্রয় নিয়েছি। পানি কমলে ঘরে ফিরবো।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, পূর্ণিমা ও উজানের পানির চাপে ১০টি নদীর পানি বেড়েছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলে এখন পর্যন্ত বন্যার কোনো প্রভাব নেই। নদ-নদীর যে পরিমাণ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে তা মৌসুমের স্বাভাবিক পরিস্থিতি।