gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ১৪ কার্তিক ১৪৩২
gramerkagoj
শিরোনাম
শিরোনাম ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে যশোরের চার কৃতি সন্তান যশোরে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত জাতীয় বাস্কেটবল প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় দিনে দু’টি ম্যাচ সম্পন্ন ব্যাটিংয়ের শীর্ষে রোহিত ॥ বোলিংয়ে রশিদ বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে ঢাকায় আসছে না আফগানিস্তান-মিয়ানমার মাদারীপুরে নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ক সংবাদ সম্মেলন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের শ্রমিকদের বিক্ষোভ ঝালকাঠিতে ১০ বছর পর মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন ৪৭ আসামি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশে প্রতারণা হয়েছে, দ্রুত সংস্কারের দাবি নদীভাঙা মানুষের কথা ভাবি না, ভাবি শুধু মেগা প্রকল্প
সব শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের: আইনমন্ত্রী
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই , ২০২৪, ১০:০২:০০ পিএম
ঢাকা অফিস:
GK_2024-07-23_669fd4907e66e.jpg

শুধু আন্দোলনকারীদের নয়, দেশের সব শিক্ষার্থীর রিাপত্তার দায়িত্ব সরকারের। কোটা সংস্কার আন্দোলনে আহত সব শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ভারও সরকার গ্রহণ করবে। এমন কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পাশাপাশি এই আন্দোলনে অংশ নেয়ার কারণে কোন সাধারণ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হলে, তাদের বিষয়টিও বিবেচনা করবে সরকার।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে আইনমন্ত্রীর বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। তার আগে কোটা সংস্কার করে সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া রায়ের প্রেক্ষিতে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারির ঘোষণা দেন আইনমন্ত্রী।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতসহ জনপ্রশাসন বিভাগের সচিব এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব।
আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার কোটা সংস্কারের ব্যাপারে সর্বোচ্চ আদালতের যে রায় তা পুরোপুরি প্রতিপালন করেছে। এছাড়া সহিংসতায় হতাহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটি বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখবে। অবস্থা একটু শান্ত হলেই, যে স্থানে এসব ঘটনা হয়েছে সেই স্থানগুলো কমিটি পরিদর্শন করবে। সাধারণ শিক্ষার্থী যারা এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার।
এছাড়া আন্দোলনে অংশ নেয়ায় যদি কোন শিক্ষার্থী মামলার শিকার হন, সেক্ষেত্রে কাগজপত্রসহ যোগাযোগ করা হলে সরকারের তরফে বিষয়টি দেখা হবে। পাশাপাশি শিক্ষার পরিবেশ রক্ষা এবং শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও সরকার দেখবে।
প্রজ্ঞাপনে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের কথা হচ্ছে, এই মুহূর্তে তাদের কোনো সন্তানের চাকরির বয়স নেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলেছি, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হচ্ছে সর্বোচ্চ আদালত। তারা যে রায় দিয়েছেন, তার দাঁড়ি, কমা ও সেমিকোলনও আমরা বদলাতে পারবো না।’
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে কি না- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘পরিষ্কারভাবে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সব গ্রেডে। সর্বোচ্চ আদালত কিন্তু চারটি ক্যাটাগরি পরিষ্কারভাবে করে দিয়েছেন। সরকার এর বাইরে যেতে পারবে না, কারণ এটা আপিল বিভাগের রায়। এর বাইরে যাওয়া আমাদের কোনো অভিপ্রায়ও নেই।’
যেসব চাকরির আবেদনের শেষ তারিখ ২১ জুলাই, আজ ২৩ জুলাই জারি করা প্রজ্ঞাপন সেইসব চাকরিতে অনুসরণ করা হবে কিনা- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রজ্ঞাপনে পরিষ্কার বলা আছে, এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। আমার মনে হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই শেষ লাইনটি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন। তার মানে, আগামী ৩১ জুলাই যে সব চাকরির পরীক্ষা হবে, সেটাও এই প্রজ্ঞাপনের আলোকে বিবেচনা করতে হবে।’
শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আমরা সচেষ্ট। সে জন্য আশা করতে পারেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে।

আরও খবর

🔝