gramerkagoj
বুধবার ● ১৬ জুলাই ২০২৫ ৩১ আষাঢ় ১৪৩২
gramerkagoj
শিরোনাম
শিরোনাম প্রবল বর্ষণে যশোরে সবজিসহ ৩১৯১ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত, দুশ্চিন্তায় কৃষক যশোরে কুমারী সেজে দ্বিতীয় বিয়ে ও মালামাল আত্মসাৎ, স্বামীর আদালতে মামলা পাউবির ত্বরিত পদক্ষেপে বিকল স্লুইস গেট সচল মণিরামপুরে আব্দুল মান্নান হত্যার দায় স্বীকার ভাই ও ভাইপোর অস্ত্রসহ আটক রয়েল দুই দিনের রিমান্ডে শান্তির হ্যাট্রিকে ভুটানকে হারালো বাংলাদেশ চৌগাছায় টানা বৃষ্টিতে একশ হেক্টর আউশ ধান পানির নিচে, দুশ্চিন্তায় কৃষকরা যারা নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে তারা গণতন্ত্রের বন্ধু হতে পারে না: অমিত একটি মেডিক্যাল ক্যাম্প ও ভ্রমণ কাহিনী যশোরে একদিনের ব্যবধানে ফের আটটি স্বর্ণের বার উদ্ধার,  দুই পাচারকারী আটক
নাম পরিবর্তন করে রোগীর সাথে প্রতারণা করছে খাজুরা ক্লিনিক
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই , ২০২৪, ০৯:৩৫:০০ পিএম
কাগজ সংবাদ:
GK_2024-07-23_669fcee082e74.jpg

নাম পরিবর্তন করে প্রতারণা অব্যহত রেখেছে খাজুরা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। যার নাম আগে ছিলো মাতৃসেবা। রোগী মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিষ্ঠান ‘সিলড’ করে যশোর স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু কিছুদিন পর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ মাতৃসেবার সাইনবোর্ড খুলে ফেলে দেয়। নতুন করে নামকরণ করে খাজুরা ক্লিনিক। পুনরায় চালু করে প্যাথলজি ও অপারেশন থিয়েটার।
সূত্র জানায়, রোগী মৃত্যুর ঘটনায় জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠানটি ‘সিলড’ করে দেয় যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মীর আবু মাউদ। ওই সময় প্রতিষ্ঠানের নাম ছিলো মাতৃসেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। প্রতিষ্ঠানটি খুলতে শর্ত দেয়া হয় সার্জারির সময় একজন অজ্ঞান ডাক্তারকে উপস্থিত থাকতে হবে, প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা নার্স রাখতে হবে, সব সময় একজন মেডিকেল অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন, টেকনোলজিস্ট দিয়ে প্যাথলজি রিপোর্ট প্রদান করতে হবে। কিন্তু কোনো শর্ত পুরন না করায় পরবর্তিতে এ প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য বিভাগের আর অনুমোদন পায়নি। কিন্তু পরবর্তিতে কৌশলে রাতারাতি সাইনবোর্ড বদল করে মাতৃসেবা হাসপাতাল হয়ে হয় খাজুরা ডায়াগন্টিক সেন্টার।
এ সংবাদ গ্রামের কাগজে প্রকাশিত হলে ২১ জানুয়ারি সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রেহেনেওয়াজ রনির নেতৃত্বে একটি অভিযানিক দল ক্লিনিক পরিদর্শনে যান। কিন্তু ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ আগে থেকে টের পেয়ে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর আবারও কিছুদিন কার্যক্রম বন্ধ রাখে খাজুরা ক্লিনিক। তারপর একদিন প্রতিষ্ঠান খুলে গ্রামে প্রচার করে তারা এখন থেকে নতুন নামে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবেন। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে অনুমতি পত্র নিয়ে এসেছেন।
অপর একটি সূত্র জানান, প্রতিদিন এ প্রতিষ্ঠানে সিজারিয়ানসহ বিভিন্ন ধরনের সার্জারি করছেন একজন ডাক্তার। তিনি নিজেই করছেন অজ্ঞান। প্রতিনিয়ত অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছে রোগী। প্যাথলজি রিপোর্ট গ্রদান করা হচ্ছে টেকনোলজিস্টের স্বাক্ষরে। অথচ, এখানে কোনো প্যাথলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই। বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকৃত একদল নারী ও পুরুষ প্রসূতি মায়েদের তালিকা করছেন। পরবর্তিতে তাদের আন্ডার রেটে সার্জরি করছেন অজ্ঞানের ডাক্তার ছাড়াই। প্রতিষ্ঠান খুলে রাস্তায় বসে থাকে একজন। স্বাস্থ্য বিভাগের গাড়ি দেখা মাত্রই সামনে তালা ঝুলিয়ে সকলেই বসে থাকেন ভিতরে যেয়ে। গাড়ি চলে গেলে আবারও চালু হয় প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে ডেপুটি সিভিল সার্জন নাজমুস সাদিক রাসেল জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান অব্যহত আছে। অভিযোগ পেলে ওই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও খবর

🔝