শিরোনাম |
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত হুনান সি-ফুড মার্কেটে প্রথম করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটে। এরপর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারিতে মারা গেছেন ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ। যদিও এই মহামারিতে প্রাণ হারানো মানুষের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করা হয়। মানুষের প্রাণ কাড়ার পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারি বিশ্বের অনেক দেশের অর্থনীতিকেও ছিন্নভিন্ন করেছে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দিয়েছে। আবারও যদি করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করে, তবে বাংলাদেশের মতো ছোটো দেশগুলোতে অশান্ত অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। কাজেই আগেভাগে সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
সারাবিশ্বে ফের করোনার ভয়ঙ্কর রূপ দেখা মিলেছে। করোনার ভয়াবহতার অবসান ঘটেছে বেশ আগেই। এরপর এ মহামারি সংক্রান্ত নানা বিধিনিষেধ তুলেও নেওয়া হয়েছে। হাত ধোয়া, মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার মতো স্বাভাবিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপও এখন আর অনেকেই মানেন না। আর এরই মধ্যেই ফের ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯। সংক্রামক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে মৃত্যু হচ্ছে প্রায় ১৭০০ মানুষের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ তথ্য সামনে এনেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এখনও সারা বিশ্বে সপ্তাহে প্রায় ১৭০০ জনের প্রাণ কাড়ছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বৃহস্পতিবার জানিয়েছে। আর এ কারণে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের হার হ্রাসের বিষয়েও সতর্কবার্তা দিয়েছেন। জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার এই প্রধান সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ক্রমাগত মৃত্যুর সংখ্যা সামনে আসা সত্ত্বেও তথ্যগুলোতে দেখা যাচ্ছে, স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে ভ্যাকসিনের কভারেজ হ্রাস পেয়েছে, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে তারাও রয়েছেন। তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা লোকেদের তাদের শেষ ডোজ নেওয়ার ১২ মাসের মধ্যে আবারও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিতে ডব্লিউএইচও সুপারিশ করছে।