শিরোনাম |
সারাদেশে চলমান আন্দোলনে গতকাল পর্যন্ত আটজনের প্রাণহানীর খবর পাওয়া গেছে। কোটাবিরোধী আন্দোলনে ১৬ জুলাই রাজধানী শহর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারী ও প্রতিরোধকারীদের সংঘর্ষে ছয় জন প্রাণ হারিয়েছেন। যারা চলমান আন্দোলনে রক্তপাত আশঙ্কা করেছিলেন, যারা ভেবেছিলেন এমন কিছু হতে পারে, অবশেষে তাদের আশঙ্কা সত্যি হয়েছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকারসমর্থক সংগঠনের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকশ’ মানুষ। ওই দিন রাতে একজন এবং গতকাল আরও একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সেই সাথে শান্তি আনয়নের চেষ্টায় সারাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি চলমান এইচএসসি পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি নিশ্চয়ই কারও কাম্য হতে পারেনা।
সরকারি চাকরির কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলনের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে সংঘর্ষে শিক্ষার্থী, পথচারীসহ ছয়জনের প্রাণ গেছে। এছাড়াও রাজশাহী, যশোরসহ সারাদেশে অসংখ্যজনের আহত হওয়ার খবর মিলেছে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকারসমর্থক সংগঠনের কর্মীদের সংঘর্ষের এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকশ’ মানুষ। এর মধ্যে চট্টগ্রামে তিনজন এবং ঢাকায় দুইজন এবং রংপুরে একজন করে মারা গেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রাজশাহীতে বিজিবি নামানো হয়েছে। কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিকেলে দেশের সব ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল আন্দোলনকারীরা। তবে সকাল ১১টা থেকেই ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের খবর আসতে থাকে। ঢাকার বিভিন্ন সড়কে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তাতে নগরের বড় অংশজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। প্রচ- গরমের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে ভোগান্তিতে পড়েন চলতি পথের যাত্রীরা। শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও গতকাল সারদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ নামে দেশ অচলের কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
এই পরিস্থিতি নিশ্চয়ই দেশবাসীর কাম্য নয়। দেশের সাধারণ মানুষ শান্তি চায়। আর সেই কাঙ্খিত শান্তি প্রতিষ্ঠায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।