gramerkagoj
রবিবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩ ভাদ্র ১৪৩১
gramerkagoj
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)
অভিনেতা রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই , ২০২৪, ১০:৪১:০০ এএম
বিনোদন ডেস্ক:
GK_2024-07-18_66989d00bacf8.jpg

বাংলা চলচ্চিত্রের চিরসবুজ অভিনেতা নায়ক রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বাংলাদেশের সিনেমায় বিশেষ অবদান রাখা এই মানুষটির পুরো নাম আব্দুর রহমান।
রহমান ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৭ সালে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার রসেয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৮ জুলাই, ২০০৫ সালে ঢাকায় ৬৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
সিনেমার সাদা-কালো যুগের সুপার হিট সিনেমা ‘জোয়ার ভাটা’। এই সিনেমার জুটি ছিলেন রহমান ও শবনম। আরও একটু পরের একই জুটির রঙিন ছবি ‘আমার সংসার’। সেই সময়ের সব সেরা রোমান্টিক জুটি ছিলেন তারা। বাংলা ও উর্দূ ভাষার চলচ্চিত্রের দাপুটে জুটি ছিলেন তারা।
১৯৫৭ সালে ২১ বছর বয়সে সিনেমার টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকায় আসেন রহমান। ঢাকায় এসে খুঁজে বের করেন আরেক কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্যাপ্টেন এহতেশামকে (আবু নুর মোহাম্মাদ এহতেশামুল হক)। তার পরিচালিত ‘এ দেশ তোমার আমার’ চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তার। ছবিটি ১৯৫৯ সালে মুক্তি পায়। তারপর একের পর এক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে গেছেন।
১৯৬৭ সালে ‘দর্শন’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণের মাধ্যমে পরিচালনায় আসেন তিনি। স্বাধীন বাংলাদেশে অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের নায়ক ছিলেন তিনি। এগুলোর মধ্যে ১৯৮১ সালে দিলীপ বিশ্বাস পরিচালিত ‘অংশীদার’ চলচ্চিত্রটি কালজয়ী হয়ে আছে। তার পরিচালিত উর্দু চলচ্চিত্র হলো ‘দর্শন’, ‘কঙ্গন’, ‘যাহা বাজে সেহনাই’ ইত্যাদি। আর বাংলা চলচ্চিত্র ‘নিকাহ’। তিনি উর্দু চলচ্চিত্র ‘চাহাত’, ‘দোরাহা’ ও ‘লগান’-এ অভিনয় করেন।
প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো উপন্যাসের চলচ্চিত্রায়ণ ‘দেবদাস’ নির্মাণ করেন। সেখানে নায়ক রহমান চুনি লালের চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৮১ সালে দিলীপ বিশ্বাস পরিচালিত ‘অংশীদার’ চলচ্চিত্রেও তিনি দুর্দান্ত অভিনয় করেন। রহমান অভিনীত শেষ চলচ্চিত্র ছিল অশোক ঘোষ পরিচালিত ‘আমার সংসার’।
মাসুদ চৌধুরীর পরিচালিত ‘প্রীত না জানে রীত’ চলচ্চিত্রের শুটিংয়ে সিলেটে গাড়ি দুর্ঘটনায় তিনি একটি পা হারান। এ দুর্ঘটনায় পা হারানোর পর রহমানের ক্যারিয়ার থমকে যায়। বাংলা, উর্দু ও পশতু ভাষার চলচ্চিত্রে সমানভাবে জনপ্রিয় অভিনেতা রহমান অভিনীত উল্লেখ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো উর্দুতে ‘চান্দা’, ‘তালাশ’, ‘মিলন’, ‘বাহানা’, ‘ইন্ধন’, ‘দর্শন’, ‘জাহাঁ বাজে সেহনাই’, ‘গোরি’, ‘প্যায়াসা’, ‘কঙ্গন, ‘দোস্তি’, ‘নাদান’; বাংলায় ‘এ দেশ তোমার আমার’, ‘রাজধানীর বুকে’, ‘এই তো জীবন’, ‘হারানো দিন’, ‘যে নদী মরু পথে’, ‘দেবদাস’।
কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি পেয়েছেন নিগার পুরস্কার, দেবদাস ছবিতে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার।
ব্যক্তিজীবনে রহমান, কুমকুম (জুলেখা)-এর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
বাংলাদেশের সিনেমার যথার্থ আধুনিক চিত্রনায়ক হিসেবে রহমান জয় করে নেন কোটি মানুষের ভালোবাসা। যে ভালোবাসা মৃত্যুতে শেষ হয় না। যে ভালোবাসার মৃত্যু হয় না। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে নায়ককুলের শিরোমনি, চিত্রনায়ক রহমান কোটি মানুষের ভালোবাসায় চিরঞ্জীব।

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝