শিরোনাম |
❒ সাতক্ষীরায় টাস্কফোর্সের অভিযান
সাতক্ষীরায় টাস্কর্ফোসের অভিযানে নিষিদ্ধ পলিথিন তৈরির দুটি ফ্যাক্টরি সিলগালা করা হয়েছে। এসময় তল্লাশি চালিয়ে পলিথিন তৈরির কাঁচামাল হিসেবে পিপি প্যাকেট ১৪ বস্তা, পিপি দানা প্যাকেট ১২৮ বস্তা জব্দ করা হয়েছে। রোববার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা শহরের বিনেরপোতা এলাকায় দু’টি পলিথিন ফ্যাক্টরিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ফ্যাক্টরি মালিকের একজনকে ১৫ দিনের এবং অপর একজনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার কুলিয়াদাড় এলাকার গাউস হোসেনের ছেলে ফজলুর রহমান ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিনেরপোতা গ্রামের মৃত আক্তার আলী সরদারের ছেলে অব্দুর রাজ্জাক।
বিজিবি সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিনেরপোতা এলাকায় কিছু অসাধু ব্যক্তি দু’টি পলিথিন ফ্যাক্টরিতে অবৈধভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাত করে আসছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স দল রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেখানে অভিযান চালায়। তারা সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত টানা তিন ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করে দু’টি ফ্যাক্টরি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন তৈরীর কাঁচামাল হিসেবে পিপি প্যাকেট ১৪ বস্তা, পিপি দানা প্যাকেট ১২৮ বস্তা জব্দ করে।
অভিযানকালে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ সংশোধিত ২০১০ এর ৬(ক) লঙ্ঘন করায় ধারা ১৫ (১) মোতাবেক ফজলুর রহমানকে ১৫ দিন এবং আব্দুর রাজ্জাককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এসময় ২টি পলিথিন তৈরির মেশিনসহ কারখানা সিলগালা করা হয়। দন্ডিত ব্যক্তিদের সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে হস্তান্তর করা হয়েছে। জব্দকৃত মালামালের মূল্য পনের লাখ উনচল্লিশ হাজার টাকা।
টাস্কফোর্সের অভিযানকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল আমিন, বিজিবি’র পক্ষে সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর উপ-অধিনায়ক মেজর মাহমুদুল হাসান, সাতক্ষীরা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম এর সাথে ১৫ জন বিজিবি সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আশরাফুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দন্ডিত ব্যক্তিদের সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে হস্তান্তর করা হয়েছে। জব্দকৃত মালামালের মূল্য আনুমানিক পনের লাখ উনচল্লিশ হাজার টাকা।