শিরোনাম |
ইসরায়েল তাদের বর্বরতার সব মাত্রা ছাড়িয়ে এবার সেফ জোনেও হামলা চালিয়েছে। বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর বের হয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পশ্চিম এলাকায় আল-মাওয়াসিতে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ৫০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু। শনিবার সেখানের মেডিকেল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সেখানে তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। গাজা সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই স্থানটিকে ইসরায়েল ‘সেফ জোন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, আহতদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে ফিলিস্তিনিরা। ভুক্তভোগীদের মধ্যে শিশু ও প্যারামেডিকসরাও রয়েছে। এই বর্বরতার শেষ কোথায়?
সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নতুন করে একটি ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ওই এলাকায় অন্তত ৫টি বোমা ও ৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। হামলার যে সব ছবি পাওয়া যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে সেখানে ধ্বংসাত্মক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। আহতদের নাসের ও কুয়েতি হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। এদিকে গাজায় হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হয়েছে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার মিডিয়া অফিস বলছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন অংশে বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণে ৭১ হাজার ৩৩৮ জন হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রায় ১০ মাস ধরে চলা এই সংঘাতে গাজার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়নি। গাজার প্রায় সর্বত্রই ইসরায়েল হামলা চালিয়ে মসজিদ, ভবন, স্কুল, হাসপাতাল ধ্বংস করে দিয়েছে। গাজায় হামলা অব্যাহত থাকায় প্রতিনিয়ত লোকজনকে এক এলাকা থেকে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হচ্ছে। ইসরায়েল নিজেরা যে এলাকাকে ‘সেফ জোন’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে, সে স্থানকে প্রকৃত ‘সেফ জোন হিসেবে বিবেচনা করেই বাস্তুচ্যুত অসহায় মানুষ তাঁবু খাটিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলো। আর সেখানেই হামলা চালানো হলো! এরপরেও কথিত বিশ্ব নেতৃত্বর বিবেক জাগ্রত হবে কী না সেটি দেখতেও অপেক্ষা করতে হবে।