শিরোনাম |
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ২৬টি বৃহৎ আকৃতির চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির জমজমাট ব্যবসা চলছিল। উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনের ইটভাটা সংলগ্ন ফসলি মাঠে এ অবৈধ কারবার চালিয়ে যাচ্ছিল একটি চক্র। এ খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর সেখানে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে অভিযান পরিচালনা করেন। তখনো প্রজ্বলিত ছিল অবৈধ কয়লা কারখানার চুল্লিগুলো। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে কয়লা তৈরির ওই কারখানার চুল্লি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এর আগে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পানি দিয়ে জ্বলন্ত সবগুলো চুল্লির আগুন নিভিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) আব্দুল্লাহ আল ইমরান জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর আইন অনুযায়ী অবৈধ চুল্লি ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে অবৈধভাবে কয়লা তৈরির কারখানা না করার অঙ্গীকার করায় সেলিম হোসেন ও আবুল বাশারকে প্রাথমিকভাবে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। অবৈধভাবে কয়লা তৈরির কারখানা কেউ তৈরি করলে আইনগত শাস্তি ও জরিমানা করা হবে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম, হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা।