শিরোনাম |
কোনো তদবির-সুপারিশ নয়, প্রকৃত মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হবে। এ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন যশোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার মাহমুদুল হাসান।
বুধবার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হলরুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন তিনি দৃঢ়চিত্তে বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া কোনো ধরণের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অফিসপ্রীতি, আর্থিক লেনদেনের সুযোগ দেয়া হবে না। লিখিত, মৌখিক ও প্রযোজ্যক্ষেত্রে ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের চাকরি পাওয়া নিশ্চিত করতে যাবতীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নিয়োগ প্রত্যাশীদের অনলাইন আবেদন ফি ব্যতিত একটি টাকাও বাড়তি খরচ হবে না।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, জনবল সংকটের কারণে যশোর স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। জনবল শূন্যতা পূরণ করতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। আগামী ১৯ জুলাই শুক্রবার যশোর ৯টি পদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘন্টার এ পরীক্ষায় ৩৫ হাজার ৪৪১ জন চাকরি প্রত্যাশী অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। পরীক্ষা গ্রহণের দু’দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ২০ নম্বরের মৌখিক ও প্রযোজ্যক্ষেত্রে ব্যবহারিক পরীক্ষার পর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে। শতভাগ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে পরীক্ষা নেয়া হবে। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে।
দালাল বা প্রতারকের খপ্পরে না পড়ার অনুরোধ জানিয়ে সিভিল সার্জন ডাক্তার মাহমুদুল হাসান বলেন, নিয়োগের সাথে আর্থিক কোন সম্পর্ক নেই। লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস রোধে কঠোর ও নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পরীক্ষায় মেধা ও যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলেই চাকরি হবে। কোনো তদবির, সুপারিশ ও আর্থিক লেনদেন প্রয়োজন পড়বে না।
সিভিল সার্জন জানান, ৯টি পদের বিপরীতে ৩৫ হাজার ৪৪১ জন আবেদনকারীর মধ্যে কম্পিউটার অপারেটরের ৩টি শুন্য পদের বিপরীতে ১১৭ জন, সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটরের ১টি শুন্য পদের বিপরীতে ২৮, পরিসংখ্যানবি ৩টি শুন্য পদের বিপরীতে ১৯১, কীটতত্ত্বীয় ২টি শুন্য পদের বিপরীতে ১৫৩ জন, কোল্ডচেইন টেকনিশিয়ান ২টি শুন্য পদের বিপরীতে ১৩, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট ৬টি শুন্য পদের বিপরীতে ৬৬৯, স্টোর কিপার ৭টি শুন্য পদের বিপরীতে ২ হাজার ৯৬০, স্বাস্থ্য সহকারী পদে ১৭১টি শুন্য পদের বিপরীতে ৩১ হাজার ৩৬জন ও ড্রাইভারের ৪টি শুন্য পদের বিপরীতে ২৭৪জন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে। যশোর শহরের ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে লিখিত পরীক্ষার ভেন্যু হিসেবে নেয়া হয়েছে। উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ করবেন ১৫০জন শিক্ষক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার নাসমুস সাদিক রাসেল, মেডিকেল অফিসার রেহেনেওয়াজ রনি, অনুপম দাস ও ডাক্তার নাজিয়া আন্দালিব।