শিরোনাম |
কুটিকালে ইশকুল পলাতাম নানান উসলোতে। একবার ম্যালাদিন ইশকুলি যায়নি। বাড়িত্তে ধাতানি খাইয়ে ইশকুলি যাতিই থাড় স্যারের সুমকি পইড়ে গেলাম। স্যার নাম ডাকার খাতায় গরহাজরে দেকে কুঞ্চিতি শান দিতি লাইগলো। ঝড় ওটার আগে যিরাম বাতাস দেইকে আন্দাজ করা যায় সিরাম আমি বুজ নিয়ে ফেল্লাম কোন খাইন বাদদি যাচ্চে। স্যার আমার কাচে আইসতিই কশোন দিয়ার আগেই কাইন্দে বুড়োলাম। স্যার আমার দাদা আর নেই। দাদা চইলে গেচে। স্যারের সাতে দাদার খুব ভালো সম্পক্ক ছিল। এই কতা শুইনে স্যার থ’ মাইরে গেলেন। সেদিনকের মতো বাইড়োনডা বাইচে গিলাম!
এই ঘটনার পরদিন আমার দাদা বাড়ি আইসে কলে, আইজ এক আনকা ঘটনা ঘইটেচে। আমি ক’লাম কি হইয়েচে দাদা। দাদা কলে, মাটের মদ্দি বটতলায় বইসে হুকো খাচ্চিলাম। দেকি তোগের থাড় স্যার যাচ্চে। আমি ভালো বুইজে তারে ডাকলাম। সে আশপাশ তাগায় দেকে কেউ নেই। আমি তার দিকি আইগোয় যাবো কি, সে আমারে দেইকে দেলে ঝাড়া দৌড়। আমি তো অবাক, চিনাশুনো লোক দেইকে কেউ দিন দুপারে ভয় পায়! দাদার কতার মানে কেউ না বুজলিও আমার বুজা সারা। দু’দিন আগে কইচি দাদা মইরে গেচে। স্যার মনে হয় দাদারে ভুত মনে কইরে দৌড়েয়েচে।
ইরাম ককনো প্যাট ব্যাতা, ককনো গা গরম, জাড়, বিস্টি অজুহাতের কোন অন্ত ছিলনা। এই গুলো ছিল বাড়ির দিকতে। বাপের দাবোড় খাইয়ে মাজেমদ্দি উসলোত এড়ায়ে বাড়িত্তে বাইরোতাম ঠিকই, কিন্তুক অনেক সুমায় হ্যানোহোনে সুমায় কাটায় কুনা কাইটে বাড়ি ঢুকতাম চুন্নি বিলেইর মতো। পড়া না পাল্লি কত দিন বইর পাতা ছিড়ে কতাম, বই নেই তা কি করবো। আবার ইশকুলি কড়া স্যারের ক্লাসে কত উসলোতে যে ভুকসি মারিচি তার কোন লিকাজুকা নেই।
এই ভুকসি মারার বিষয়ডা হালি কইরে সুমকি আইসলো। আগে ইশকুল পলাতাম পড়ালিকার ভয়তে, আর একন ভুকসি মারি বাজারে যাওয়ার ভয়তে। ককনো খতে নিতি মনে নেই। ককনো বিস্টি আইলো, ককনো ভুলো মন তেমাতাত্তে ফেরট আইচি এই সব কতি হচ্চে। মাল জিনুসের যে দাম, বাজারে যাইয়ে কেনবোডা কি। এক সুমায় পান্তা ভাত কাচা ঝাল আর পিয়েজ দিয়েই মাইরে দিচি। একন সেই ঝাল পিয়েজ কিনাও বড়লোকি। আলু তো পঞ্চাশের নিচেয় আর উইললো না। মাছ গোস্ত সে সবের কতা আর নাইবা কলাম।
দুক্কির কতা কবো কারে, আর শোনবেই বা খিডা, আলাম কনে, মলাম যে!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা