gramerkagoj
রবিবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩ ভাদ্র ১৪৩১
gramerkagoj
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)
অভিনেতা সঞ্জীব কুমারের জন্মবার্ষিকী আজ
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ৯ জুলাই , ২০২৪, ১১:৩৬:০০ এএম , আপডেট : শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর , ২০২৪, ০৩:০৬:২৯ পিএম
বিনোদন ডেস্ক:
GK_2024-07-09_668cc87e7d8ee.jpg

সঞ্জীব কুমার এমনি একজন অভিনেতা যিনি তার চোখের মাধ্যমে অভিনয় করতে পারেন। দুর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি হয়ে উঠেছিলেন দর্শকদের খুব প্রিয়। কিংবদন্তি অভিনেতার আজ জন্মদিন।
এই অভিনেতা বেশিরভাগই সময়ই অভিনয় করেছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তির চরিত্রে। তিনি সঞ্জীব কুমার, হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় অভিনেতা। ‘শোলে’, ‘ত্রিশূল’, ‘বিধাতা’, ‘আঁধি’, ‘সিলসিলা’, ‘কোশিশ’, ‘নায়া দিন নায়ি রাত’, ‘দাস্তাক’, ‘অনামিকা’র মতো ছবিতে তার অভিনয় হিন্দি সিনেমাপ্রেমীদের অনেক দিন মনে থাকবে।
সঞ্জীব কুমার ৯ই জুলাই, ১৯৩৮ সালে এক গুজরাতি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সঞ্জীব কুমারের আসল নাম হরিহর জেথালাল জরিওয়ালা। মুম্বাই সিনেপাড়ার ঘনিষ্টজনেরা তাকে হরিভাই বলে ডাকতেন। পরিবারের সঙ্গে শৈশবের বেশ কয়েক বছর কাটে সুরাটে। পরবর্তীতে মুম্বাইয়ে স্থায়ী হয় তাদের পরিবার। তিনি একটি চলচ্চিত্র বিষয়ক স্কুলে অভিনয় শেখেন। তার অভিনয় জীবন শুরু হয় মঞ্চে। প্রগতিশীল শিল্পী সংগঠন আইপিটিএর সদস্য ছিলেন। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল থিয়েটারেরও সদস্য হন। মঞ্চেও তিনি নিজের প্রকৃত বয়সের চেয়ে অনেক বেশি বয়স্ক চরিত্রে অভিনয় করতে পছন্দ করতেন। মাত্র ২২ বছর বয়সে তিনি আর্থার মিলারের মঞ্চনাটক ‘অল মাই সনস’ এ একজন বয়স্ক মানুষের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হন।
কেবল গম্ভীর চরিত্রে নয় কমেডিতেও ছিলেন অসামান্য। শেক্সপিয়রের নাটক ‘কমেডি অব এররস’ অবলম্বনে নির্মিত ‘আঙ্গুর’ ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে তার অভিনয় ছিল দুর্দান্ত। এ ছবিও তাকে ফিল্মফেয়ারে সেরা অভিনেতার মনোনয়ন এনে দেয়।
‘দেবতা’, ‘নামকিন’, ‘ইয়ে হ্যায় জিন্দেগি’, ‘পতি পত্নী অউর ও’ - এমন অনেক ছবিতে স্মরণীয় অভিনয় করেছেন তিনি। তিনি দুবার সেরা অভিনেতা এবং একবার পার্শ্ব-চরিত্রে সেরা অভিনেতার ফিল্মফেয়ার পেয়েছেন আর ১১ বার সেরা অভিনেতা এবং তিনবার পার্শ্ব-চরিত্রে সেরা অভিনেতার পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন।
২৫ বছরের ক্যারিয়ারে গুজরাটি, মারাঠি, পাঞ্জাবিসহ ভারতের বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক ভাষার ছবিতে অভিনয় করেছেন।
চলচ্চিত্রে সঞ্জীব কুমারের অভিষেক ঘটে ১৯৬০ সালে ‘হাম হিন্দুস্তানি’ ছবিতে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। ১৯৬৫ সালে ‘নিশান’ ছবিতে তিনি প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি দীলিপ কুমারের সঙ্গে ‘সংঘর্ষ’ ছবিতে অভিনয় করে খ্যাতি পান। ১৯৬৯ সালে ‘শিকার’ ছবিতে পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পার্শ্ব-চরিত্রে সেরা অভিনেতার ফিল্মফেয়ার জিতে নেন। ১৯৭০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘খিলোনা’ ছবিতে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যাক্তির ভূমিকায় তার অভিনয়ও সাড়া ফেলেছিল। ১৯৭২ সালে মুক্তি পায় সুপার হিট ছবি ‘সীতা অউর গীতা’। এতে হেমা মালিনির বিপরীতে অন্যতম নায়ক ছিলেন সঞ্জীব। এ ছবির সুবাদে সফল তারকা হিসেবে বক্স-অফিসেও স্বীকৃতি পান। রোমান্টিক নায়ক হিসেবে নির্মাতাদের কাছে তার চাহিদা সৃষ্টি হয়। ১৯৭৩ সালে রোমান্টিক থ্রিলার ‘অনামিকা’ তাকে বেশ জনপ্রিয়তা এনে দেয়। ছবিতে তার বিপরীতে নায়িকা ছিলেন জয়া ভাদুড়ী। ১৯৭৩ এ মুক্তি পাওয়া ‘মাঞ্চালি’ ছবিটিও ব্যবসা সফল হয়। তবে সঞ্জীব পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনয় করতেই বেশি ভালোবাসতেন। সে কারণেই রাজেশ খান্না-মুমতাজ জুটির ‘আপকি কসম’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেন এবং খ্যাতি পান সু-অভিনয়ের জন্য। বলিউডের নামকরা পরিচালক গুলজার সঞ্জীবের অভিনয় প্রতিভার কদর করতেন। তিনি ‘কোশিশ’ ছবিতে সঞ্জীবকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। দুজন বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জীবন ও সম্পর্ক নিয়ে সিনেমাটিতে সঞ্জীবকে তরুণ ও বৃদ্ধ দুই বয়সেই দেখানো হয়। অসাধারণ ১৯৭৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার আসরে সেরা অভিনেতার মনোনয়ন পান এবং জিতে নেন বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্ট অ্যাওয়ার্ড। সে বছর সেরা অভিনেতার ফিল্মফেয়ার না পেলেও ১৯৭৬ সালে ‘আঁধি’ (১৯৭৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত) ছবিতে অভিনয়ের জন্য সে পুরস্কার অর্জন করে নেন। গুলজার পরিচালিত ‘আঁধি’ সিনেমায় এক রাজনৈতিক নেত্রীর অখ্যাত স্বামীর ভূমিকায় সুচিত্রা সেনের বিপরীতে অসামান্য অভিনয় করেছিলেন সঞ্জীব। গুলজারের পরিচালনায় মোট নয়টি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। তার অভিনীত ১৯৭৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মওসাম’ ছবিটিও ব্যবসাসফল এবং এর জন্য সেরা অভিনেতার মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। তবে ১৯৭৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘শোলে’তে ঠাকুর চরিত্রটি তার নাম হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখে দিয়েছে । সেসময় তার বয়স ছিল ৩৭ বছর। অথচ তিনি মধ্যবয়সী ঠাকুরের ভূমিকায় ছিলেন সম্পূর্ণ মানানসই। পরের বছর ‘ডমরু’ ছবিতে তিনি ছয় সন্তানের জনক ষাট বছর বয়সী এক বৃদ্ধের চরিত্রে অভিনয় করেন। ‘ত্রিশূল’ ছবিতেও মধ্যবয়সী ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করেন যুবক সঞ্জীব। ১৯৭৭ সালে ফিল্মফেয়ার আসরে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান ‘অর্জুন পণ্ডিত’ ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের সুবাদে। ১৯৮৫ সালের ৬ই নভেম্বর ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝