শিরোনাম |
রাজবাড়ীতে পদ্মার পানি বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের নিম্নাঞ্চলে থাকা ৪টি উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলে বসবাসরত জনবসতির আঙ্গিনার চারপাশে পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার আবাদি ফসল, গো-খাদ্যের চারণভূমিসহ রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। ফসলী ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে।
এসব অঞ্চলের বাদাম, তিল, পাট, সবজি, পটল ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলী জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে। পানিতে তলিয়ে ফসল নষ্ট হওয়ায় লোকসানে পড়েছেন কৃষকেরা।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেলেও এখনও রয়েছে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচে। এছাড়া জেলা সদরের মহেন্দ্রপুর ও পাংশার সেনগ্রাম পয়েন্টেও পদ্মার পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সোমবার (৮ জুলাই) সকাল সোয়া ৯টার দিকে দৌলতদিয়ার পানি পরিমাপক (গেজ পাঠক) সালমা খাতুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও এখন পর্যন্ত জেলার কোথাও বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়নি। তবে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, পদ্মা নদীর পানি পরিমাপের জন্য রাজবাড়ীর জেলা সদরের মহেন্দ্রপুর, পাংশার সেনগ্রাম ও গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ায় পৃথক তিনটি গেজ পয়েন্ট রয়েছে। এরমধ্যে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। এছাড়া সদর উপজেলার মহেন্দ্রপুর ও সেনগ্রাম পয়েন্টে বিপৎসীমার অনেক নিচে রয়েছে পদ্মার পানি।
রাজবাড়ী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুল হক জানান, বন্যার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে সভা করেছেন এবং তাদের ব্যাপক প্রস্তুতিও রয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলার কোথাও বন্যা ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাননি। তারপরও প্রস্তুতি হিসেবে ১২টি ফ্লাড শেল্টার প্রস্তুতের পাশাপাশি ৬শ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ১২ লাখ টাকা মজুত রেখেছেন।