শিরোনাম |
অসাধারণ হাসি, এনার্জি, বহুমুখী প্রতিভা দিয়ে তরুণ হৃদয়গুলি খুব সহজেই জয় করে নিয়েছেন যিনি তার নাম রণবীর সিং। 'ব্যান্ড বাজা বারাত' ছবি দিয়ে বলিউডে যাত্রা শুরু করেছিলেন রণবীর সিং। আজ এই অভিনেতার জন্মদিন।
গোলিয়ো কি রাসলীলা রামলীলা', 'ফাইন্ডিং ফ্যানি', 'বাজিরাও মস্তানি', 'পদ্মাবত' -র মতো ছবিগুলিতে রণবীরের স্ক্রিন প্রেজেন্ট চোখে পড়ার মতো ছিল। অফ স্ক্রিনও রণবীরের খুনসুটি নিয়ে বলিউডেও কম চর্চা হয়নি।
ছেলেবেলা থেকেই রণবীর অভিনেতা হতে চাইতেন। স্কুলের একাধিক নাটক ও বিতর্কে অংশও নিতেন। একবার জন্মদিনের এক পার্টিতে ঠাকুরমার অনুরোধে শিশু রণবীর নেচে দেখিয়েছিলেন। রণবীরের স্মৃতিচারণ থেকে জানা যায়, তিনি হঠাৎ এক লাফে লনে নেমে পড়েন এবং ১৯৯১ সালের অ্যাকশন চলচ্চিত্র হাম-এর "চুম্মা চুম্মা" গানটির সঙ্গে নেচে দেখান। এই ঘটনায় তিনি রোমাঞ্চিত হন এবং অভিনয় ও নৃত্যে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। যদিও মুম্বাইতে এইচ. আর. কলেজ অফ কমার্স অ্যান্ড ইকোনমিকসে ভর্তি হওয়ার পর রণবীর উপলব্ধি করেন চলচ্চিত্রে সুযোগ পাওয়া অতটা সহজ নয়। চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরাই এই ধরনের সুযোগ পান। তাই অভিনয়ের বাসনাকে "দূরাকাঙ্ক্ষা" মনে করে তিনি সৃজনশীল লেখালিখিতে মন দেন। এরপর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান এবং ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাচেলর অফ আর্টস ডিগ্রি অর্জন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি অভিনয়ের ক্লাস করার সিদ্ধান্ত নেন এবং থিয়েটারকে মাইনর হিসেবে গ্রহণ করেন। পড়াশোনা শেষ করে ২০০৭ সালে রণবীর ফিরে আসেন মুম্বাইতে। এরপর কয়েক বছর ওঅ্যান্ডএম ও জে. ওয়াল্টার টমসনের মতো কয়েকটি এজেন্সির সঙ্গে কপিরাইটার হিসেবে বিজ্ঞাপনের কাজ করেন। এরপর কিছুদিন তিনি সহকারী পরিচালকের কাজও করেন। কিন্তু অভিনয়কেই জীবনের লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়ে তিনি সেই কাজ ছেড়ে দেন। স্থির করেন পরিচালকদের কাছে নিজের পোর্টফোলিও পাঠাবেন। সব ধরনের অডিশনে যান।
রণবীর সিং ৬ জুলাই, ১৯৮৫ সালে মুম্বাই শহরে এক সিন্ধি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম জগজিৎ সিং ভবনানী এবং মায়ের নাম অঞ্জু ভবনানী। ভারত বিভাজনের সময় সিন্ধু প্রদেশের করাচি থেকে রণবীরের ঠাকুরদা সুন্দর সিং ভবনানী ও ঠাকুরমা চাঁদ বার্ক মুম্বাইতে চলে আসেন। রণবীর তার বাবা-মায়ের দ্বিতীয় সন্তান। তার দিদির নাম রীতিকা ভবনানী।
রণবীর সিং ২০১০ সালে যশ রাজ ফিল্মসের রোম্যান্টিক কমেডি ব্যান্ড বাজা বারাত ছবিতে একটি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। এটিই ছিল তার অভিনীত প্রথম ছবি। ছবিটি সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেছিল এবং বাণিজ্যিকভাবেও সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। এই ছবিতে অভিনয় করে রণবীর শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেতা বিভাগে একটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।
বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতাদের কথা ভাবলে তার নাম সেই তালিকার বেশ উপরেই থাকে। প্রথম ছবিতেই দিল্লির প্রাণোচ্ছ্বল ‘বিট্টু শর্মা’ হয়ে দর্শকের মন জয় করেন তিনি। এর পরে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ‘রামলীলা’, ‘দিল ধড়ক নে দো’, ‘বাজিরাও মস্তানি’, ‘গাল্লি বয়’, ‘পদ্মাবত’, একের পর এক সফল ছবি করেছেন তিনি।