gramerkagoj
রবিবার ● ৭ জুলাই ২০২৪ ২২ আষাঢ় ১৪৩১
gramerkagoj
ফজল-এ-খোদার মৃত্যুবার্ষিকী আজ
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই , ২০২৪, ১০:৩১:০০ এ এম , আপডেট : শনিবার, ৬ জুলাই , ২০২৪, ০৩:৪১:৫৪ পিএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2024-07-04_66862538d1780.jpg

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অমর সংগীত ‘সালাম সালাম হাজার সালাম, সকল শহিদ স্মরণে’ গানের রচয়িতা কবি, শিশুসাহিত্যিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল-এ-খোদার মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
ফজল-এ-খোদা ১৯৪১ সালের ৯ মার্চ পাবনার বেড়া থানার বনগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মুহাম্মদ খোদা বক্স এবং মা মোসাম্মাত্ জয়নবুন্নেছার প্রথম সন্তান তিনি। ঢাকা বেতারের সাবেক পরিচালক ফজল-এ-খোদা বেতারে গীতিকার হিসাবে তালিকাভুক্ত হন ১৯৬৩ সালে। পরের বছর টেলিভিশনে গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তার ছড়াগ্রন্থ ১০টি আর কবিতাগ্রন্থ পাঁচটি। এ ছাড়া গান, নাটক, প্রবন্ধ, শিশু সাহিত্য, স্মৃতিকথা ইত্যাদি নিয়ে তার বইয়ের সংখ্যা ৩৩টি। সত্তরের দশকে শিশু-কিশোরদের মাসিক পত্রিকা ‘শাপলা শালুক’ ফজল-এ-খোদার সম্পাদনায় প্রকাশিত হতো।
১৯৬০-এর দশক থেকে শুরু করে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫০ বছর ফজল-এ-খোদা অসংখ্য দেশাত্মবোধক, আধুনিক, লোকসংগীত, ইসলামি গান রচনা করেছেন। ফজল-এ-খোদার কালজয়ী গানগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘মানুষের গান আমি শুনিয়ে যাব’, ‘যে দেশেতে শাপলা শালুক ঝিলের জলে ভাসে’, ‘ভালোবাসার মূল্য কত’, ‘কলসি কাঁধে ঘাটে যায় কোন রূপসী’, বাসন্তী রং শাড়ি পরে কোন রমণী চলে যায়’, আমি প্রদীপের মতো রাত জেগে জেগে’, ‘প্রেমের এক নাম জীবন’, ‘পথের ধুলোয় লুটোবে’, ‘ডাক পিয়নে সারাটা দিন চিঠি বিলি করে বেড়ায়’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
ফজল-এ-খোদার অধিকাংশ গান গেয়েছেন বশীর আহমেদ, আবদুল জব্বার, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, রথীন্দ্রনাথ রায়ের মতো শিল্পীরা। তার গান গেয়ে তারা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। আজাদ রহমান, আবদুল আহাদ, ধীর আলী মিয়া, সুবল দাস, কমল দাশ গুপ্ত, আবেদ হোসেন খান, অজিত রায়, দেবু ভট্টাচার্য, সত্য সাহার মতো সংগীতজ্ঞ ফজল-এ-খোদার গানগুলোতে সুর করেছেন।
ফজল-এ-খোদা ছড়াকার, সংগঠক ছিলেন। শিশু কিশোর সংগঠন শাপলা শালুকের আসরের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। সত্তর দশকে তিনি শিশু কিশোরদের মাসিক পত্রিকা ‘শাপলা শালুক’ সম্পাদনা করতেন।
ফজল-এ-খোদা ২০২১ সালে ৪ জুলাই ভোর চারটায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ৮১ বছর বয়সে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি গভীর ডিমেনশিয়া ও কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ঢাকার রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে কবর দেওয়া হয়।

আরও খবর

🔝