gramerkagoj
শনিবার ● ৬ জুলাই ২০২৪ ২২ আষাঢ় ১৪৩১
gramerkagoj

❒ আটকের আগে ভুক্তভোগীকে ফের ধর্ষণের হুমকি

লেবুতলায় মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণে বিশেষ বাহিনীর সদস্য আটক
প্রকাশ : বুধবার, ৩ জুলাই , ২০২৪, ১০:০৩:০০ পিএম , আপডেট : শনিবার, ৬ জুলাই , ২০২৪, ০৩:৪১:৫৪ পিএম
বিশেষ প্রতিনিধি:
GK_2024-07-03_668576a2e2712.jpg

যশোরের লেবুতলায় মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণে অভিযুক্ত আব্দুল কাদের ওরফে কনক নামে বিশেষ বাহিনীর এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। আটকের আগে ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার বাবা মাকে হুমকিও দেয়া হয় মামলা না করতে। মামলা করলে মেয়েকে পূণরায় তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করবে বলেও হুমকি দেয় আটক আব্দুল কাদের ওরফে কনক।
আব্দুল কাদের ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার জগন্নাথপুরের মৃত সোলাইমান মন্ডলের ছেলে। তাকে আদালতে চালান দেয়া হয়েছে।
থানায় দেয়া মামলা ও পরিবারের অভিযোগ থেকে তথ্য মিলেছে, বাঘারপাড়ার মথুরাপুরের এক মাদ্রাসা ছাত্রী মায়ের সাথে কথাকাটাকাটি করে বাড়ি থেকে রাগ করে বের হয় গত ২৮ জুন সন্ধ্যায়। তার ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় রাস্তায় বৃষ্টি শুরু হয়। পথিমধ্যে যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশের একটি বন্ধ দোকানের সামনে দাঁড়ায় ওই ছাত্রী। এসময় ওই পথ দিয়ে মোটরসাইকেলযোগে আসা আব্দুল কাদেরও ওই দোকানে থামেন। আর নিজের নাম কনক ও ডিফেন্সে চাকরি করেন মর্মে পরিচয় দিয়ে ওই ছাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার প্রস্তাব দেন আব্দুল কাদের। এসময় কথা বলার এক পর্যায়ে ফুঁসলিয়ে ওই ছাত্রীকে তার মোটর সাইকেলে উঠিয়ে আজেবাজে প্রস্তাব দিতে থাকেন কাদের। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল থেকে লাফ দিয়ে দৌঁড় দেন ওই ছাত্রী। কিন্তু কাদের ওরফে কনক তাকে জোর করে ধরে লেবুতলা গ্রামের হারুন মোল্লার বাড়ির অদুরে মাঠের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এসময় ওই ছাত্রী কান্নাকাটি করে তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করলে ডিফেন্স সদস্য পরিচয়দারকারী ধর্ষক কাদের ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাড়ি ফোন নাম্বার চেয়ে নেন হুমকি দিয়ে। এরপর মুক্তি দেয়ার জন্য ওই প্রতারক ধর্ষক তার ১৬৪২-৫১২৮৪০ মোবাইল নাম্বার থেকে ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারে ব্যবহার করা ০১৭৮৭-৮৪২০২১ নাম্বারে ফোন করে টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে ওই ছাত্রীকে হত্যারও হুমকি দেন। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী চিৎকার দিলে প্রতারক ঘটনাস্থলে ওই ছাত্রীকে ফেলে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। ভুক্তভোগী ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে সব ঘটনা বাবা মাকে জানালে তারা স্বজনদের সাথে আলোচনা করে ২৯ জুন যশোর কোতোয়ালি থানায় এসে অভিযোগ করেন।
এদিকে থানায় অভিযোগ করায় এবং ঘটনা জানাজানি হওয়ায় অভিযুক্ত কাদের ফোন করে ওই ছাত্রী ও তার বাবা মাকে হুমকি দিয়ে বলেন আবারো তুলে নিয়ে ধর্ষণ করবে। ঘটনা চেপে না গেলে অবস্থা খারাপ হবে। এসব ঘটনা ভূক্তভোগী পরিবার থেকে পুলিশকে জানানো হলে তদন্ত ও আটক অভিযান শুরু করে পুলিশ। এক পর্যায়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসির নির্দেশনায় ৩ জুলাই শালতা ফুলবাড়ি ক্যাম্প ইনচার্জ আমিনুর রহমান আটক করেন আব্দুল কাদের ওরফে কনককে।
এ ব্যাপারে যশোর কেতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে রাগ করে বের হওয়া ওই ছাত্রীকে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে বিশেষ বাহিনীর সদস্য কাদের এই অনৈতিক কর্মকান্ড করেছেন। তিনি সিলেট এলাকায় কর্মরত। শুধু ধর্ষণ নয়, ওই ছাত্রীর বাড়িতে ফোন দিয়ে টাকা দাবি করা ও হুমকির ঘটনায় প্রথমে মোবাইল নাম্বার পেয়ে যায় পরিবার। আর সেই সূত্রে আটক অভিযান। আর আটক হন অভিযুক্ত ধর্ষক আব্দুল কাদের।

আরও খবর

🔝