শিরোনাম |
রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল চুরির ঘটনায় চোর চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে যশোরের ডিবি পুলিশ। বাগেরহাট, গাজিপুর ও ঢাকা জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলেন মাদারীপুর জেলার হরিকুমিরিয়া গ্রামের সিরাজ হাওলাদারের ছেলে ফেরদৌস হাওলাদার মামুন, গোপালগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পাটগাতী মধ্যপাড়ার মৃত সাত্তার মোল্লার ছেলে শাহাদত মোল্লা, ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার ঘুমগাও গ্রামের মিরাজ খানের ছেলে মোখলেছুর রহমান খান ওরফে মোখলেস, জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার গোড়াভিটা গ্রামের ফজল হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেন ও ঢাকা লালবাগ থানার রসুলবাগ গ্রামের হাবিবুল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম।
আটকের সময় তাদের কাছ থেকে চুরি হওয়া বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তার মধ্যে রয়েছে ১২১ বক্স জেড প্লাস ও ১৪৬ বস্তা অটোমেল্ট ।
ডিবি জানায়, বেনাপোলের এসআই চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টের মাধ্যমে ভারত থেকে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৪৩ লাখ ২০ হাজার ৬শ’ ৭২ টাকার বিভিন্ন মালামাল আমদানি করে ট্রান্সমিশন লাইন প্রজেক্টের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কামাকো কেম্পানি। পরবর্তীতে ওই কোম্পানির পক্ষে সকল মালামাল রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি সাইড পাবনা ও সিরাজগঞ্জে পাঠানোর জন্য প্রধান আসামি নিউ মাহি ট্রান্সপোর্টের মালিক আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করেন। এক পর্যায়ে আমিনুল অপর আসামি ফেরদৌস হাওলাদার মামুনের মাধ্যমে গত ১৯ মে একটি ছয়চাকার ট্রাক ঠিক করে ওইসব মালামাল নিয়ে রওনা দেন। এরমধ্যে আসামিরা গোপনে ওই ট্রাকের নাম্বার পরিবর্তন করে ভুয়া একটি নাম্বার প্লেট বসিয়ে সকল মালামাল নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। এরপর ট্রান্সমিশন লাইন প্রজেক্টের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কামাকো কেম্পানির কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট মালামাল না পেয়ে বেনাপোলে যোগাযোগ করে। বাধ্য হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নাইমুর রহমান।
মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবি পুলিশ। ডিবির তদন্তে উঠে আসে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ মালামাল আত্মসাৎ করেছেন। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।