gramerkagoj
রবিবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
gramerkagoj
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)
একদিনেই বাড়লো পেঁয়াজের দাম
প্রকাশ : বুধবার, ৩ জুলাই , ২০২৪, ০৯:৪৮:০০ পিএম
কাগজ সংবাদ:
GK_2024-07-03_668573308da71.jpg

মাত্র একদিনের ব্যবধানেই যশোরের বাজারে বাড়লো পেঁয়াজের দাম। মঙ্গলবারও যেখানে পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৯০ টাকা কেজিতে, সেখানে বুধবার কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে। বৃষ্টির কারণে এই বাড়তি দাম বলছেন বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।
ডিসেম্বর থেকে চলতি জুলাই মাস, বিগত আট মাসেও যশোরের বাজারে পেঁয়াজে স্বস্তি ফেরেনি। ডিসেম্বর মাসের শুরুতে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিলে এবার ভরা মৌসুমেও পেঁয়াজ ছিল ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। ডিসেম্বর মাসে দেশিয় বাজারে রেকর্ড দামে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়। ওই সময়ে পেঁয়াজ ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে রেকর্ড দামে বিক্রি হয়। সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। যার খেসারত দেন সাধারণ মানুষ।
অন্যবার ভরা মৌসুমে যেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে, সেখানে এবার ভরা মৌসুমেও পেঁয়াজের ঝাঁঝ কাঁদিয়েছে সাধারণ মানুষকে। ৭০ টাকার নিচে নামেনি পেঁয়াজের দাম। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মৌসুম হলেও পেঁয়াজে ছিল বাড়তি দাম। জানুয়ারি মাসে পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। মৌসুমের শেষের দিকে ফেব্রুয়ারিতে পেঁয়াজের দাম গিয়ে ঠেকে ৯০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে। নতুন পেঁয়াজ ৯০ আর পুরনো পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১১০ টাকা কেজিতে। ভারত সরকার আবারও পেঁয়াজ রপ্তানির ঘোষণা দিলে মার্চ মাসে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয় ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে।
এপ্রিল মাসে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসতে শুরু করলে ওই সময়ে পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্য। মে আর জুন মাস জুড়ে পেঁয়াজের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকার ঘরে ওঠানামা করে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৯০ টাকা কেজিতে। যা অব্যাহত ছিল আড়াই সপ্তাহ ধরে। চলতি মাসের শুরুতেও এ দামেই বিক্রি হয় পেঁয়াজ। মঙ্গলবার পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৯০ টাকা কেজিতে। মাত্র একদিনের ব্যবধানেই বুধবার বড়বাজারে খুচরা দোকানে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয় ১০০ টাকা কেজিতে। আর হাটখোলা রোডের পাইকারি দোকানে পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৯৫ টাকা কেজি দরে।
বড়বাজারের মশলা বিক্রেতা মাইনুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির কারণে পরিবহন সংকটে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। আর এক বিক্রেতা বাদল রায় বলেন, বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ কম আসছে, তাই দাম বেশি।
হাটখোলা রোডের হক ভান্ডারের স্বত্তাধিকারী আব্দুল হক বলেন, পরিবহন খরচ বেড়েছে তাই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ কম আসছে বাজারে।
হাবিব ভান্ডারের স্বত্তাধিকারী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বৃষ্টির কারণে পরিবহন সংকট তৈরি হয়েছে। আড়ত থেকে পেঁয়াজ কম আসছে। তাই সরবরাহ কম রয়েছে বাজারে। একই কথা জানান আমিন অ্যান্ড সন্সের ম্যানেজার মাসুদ আহমেদ।

 

 

 

 

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝