gramerkagoj
শুক্রবার ● ৫ জুলাই ২০২৪ ২১ আষাঢ় ১৪৩১
gramerkagoj

❒ ক্ষতিগ্রস্ত ইজারাদারের জেলা প্রশাসক ও ইউএনও বরাবর অভিযোগ

মাটিখেকোদের কবলে পদ্মবিলা বাওড়
প্রকাশ : বুধবার, ৩ জুলাই , ২০২৪, ১২:০৬:০০ এ এম , আপডেট : শুক্রবার, ৫ জুলাই , ২০২৪, ১২:২২:৪৪ পিএম
কাগজ সংবাদ:
GK_2024-07-02_66842ad30e6cd.jpg

যশোরের পদ্মবিলা বাওড়ের পাড়সহ মাটি জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যাচ্ছে মাটিখেকো একটি চক্র। এ কাজে বাধা দিয়েও কোন সুফল পাচ্ছেন না ইজারাদার। বাধ্য হয়ে তিনি এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হচ্ছে না। তদন্তের নামে সময় ক্ষেপন করে মাটিখেকোদের সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
যশোর সদর উপজেলার রাজাপুর নোঙ্গরপুর মৌজার পদ্মবিলা বাওড়টির ইজারাদার আজিজুর রহমান। তিনি লাউখালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক। মৎস্য চাষি আজিজুর রহমান অভিযোগে বলেন, চলতি বছর ১০ একর ২৮ শতকের পদ্মবিলা বাওড়টি তিনি তিন বছরের জন্য ইজারা গ্রহণ করেন। এরপর থেকে তিনি বাওড়ে মাছ চাষাবাদ করছেন। কিন্তু গত মে মাস থেকে মাটিখেকো একটি চক্র বাওড়ের পাড়সহ বিভিন্ন অংশ থেকে প্রকাশ্যে স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে। যা তার মাছ চাষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে দাড়িয়েছে। গত ৯ জুন মাটিখেকোরা বাওড়ের পাড় কেটে মাটি নিয়ে যায়। এতে পানির তোড়ে তার ব্যাপক সংখ্যক মাছ ভেসে গিয়ে মোটা অংকের টাকার ক্ষতি হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ১০ জুন তিনি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এতে তিনি বলেছেন সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের আজগর, কালাম, জুলফিক্কার, নোঙ্গরপুরের আব্দুর রাজ্জাক, উপশহরের ফজলু স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে গাড়ি চালক আহম্মদের মাধ্যমে বিক্রি করছে। এ কাজে তাদেরকে বাধা দিতে গেলে নানাভাবে তাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এ কারণে তিনি মাটিখেকো অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে মুক্তি পেতে ও বাওড় পাড় মাটি দিয়ে বেধে দেয়ার জন্য প্রশাসনিক পদক্ষেপ দাবি করেন। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাটি তদন্তের জন্য এসিল্যান্ড সদরের ওপর দায়িত্ব দেন। কিন্তু ২ জুলাই পর্যন্ত গত ২৩ দিনেও তিনি এ ঘটনা তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে যাননি বা এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আজিজুর রহমান এসিল্যান্ড অফিসে গেলে তাকে দিনের পর দিন ঘোরানো হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে তিনি গত ২০ জুন জেলা প্রশাসক বরাবরে আরো একটি আবেদন দাখিল করেন। কিন্তু এতেও কোন সমাধান মিলছে না। সেই আবেদনও অফিসের ফাইলে বন্দি অবস্থায় গত ১২ দিন যাবৎ পড়ে রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে শনিবার সন্ধ্যায় কয়েকদফা সদরের এসিল্যান্ড মাহমুদুল হাসানের অফিসিয়াল মোবাইল নম্বরে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস বলেন, ওই বাওড়ের জমি নিয়ে সমস্যা রয়েছে। এ নিয়ে কয়েকদফা তদন্ত ও স্থানীয়দের শালিশ বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। তার দপ্তরে দায়েরকৃত অভিযোগটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে তিনি অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।

আরও খবর

🔝