শিরোনাম |
যশোরের কেশবপুরে এক জমিদার বাড়িতে প্রাচীনকালের দুটি হারিকেনের সন্ধান মিলেছে। হারিকেন দুটি আনুমানিক ৩শ’ বছর আগের বলে দাবি করা হয়েছে। পৌর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার ওই জমিদার বাড়ির সপ্তম বংশধরদের সূত্রে এ হারিকেন দুটির সন্ধান পাওয়া গেছে।
ওই জমিদার বাড়ির পূর্ব বংশধর প্রয়াত দাতারাম সাহা, চন্ডিচরণ সাহা, রাম ঘোষাল সাহা, বিপীন বিহারী সাহা, পুনিল বিহারী সাহা ও নিরঞ্জন সাহা ওই হারিকেন ব্যবহার করেছেন। বর্তমানে প্রয়াত নিরঞ্জন সাহার ছেলে বাদল সাহা ও বিপ্লব সাহা হারিকেন দুটি সংরক্ষণ করেছেন।
তবে যশোরের ইতিহাস গবেষক ও সাগরদাঁড়ির মধুপল্লীর কাস্টডিয়ান জানিয়েছেন, হারিকেন দুটি প্রাচীনকালের এবং শতবছর আগের।
কেশবপুর পৌর শহরের ওই জমিদার বাড়ির পূর্বের নাম ছিল ‘বিপীনালয়’। বর্তমান নাম ‘বাবুর বাড়ি’। জমিদার বংশের সপ্তম বংশধর বাদল সাহা (৬০) জানান, তাদের পূর্ব বংশধরেরা এ এলাকার জমিদার ছিলেন। হারিকেন দুটি ভারত থেকে আনা হয়েছিল বলে পূর্ব বংশধরদের মাধ্যমে জেনেছেন। তারা এই হারিকেন দুটি তাদের ব্যবহার করতেন। তাদের পূর্ব বংশধর হতে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত আনুমানিক ৩শ’ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী ওই হারিকেন দুটি তাদের কাছে রয়েছে। প্রাচীন কালের এ হারিকেন দুটি এখন পারিবারিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
প্রয়াত নিরঞ্জন সাহার ছোট ছেলে বিপ্লব সাহা বলেন, পূর্ব বংশধরদের রেখে যাওয়া এ হারিকেন দুটির পাশাপাশি তাদের কাছে কলের গানের মাইক, কেটলিসহ আরও অনেক পুরাতন জিনিসপত্র রয়েছে। এগুলো বংশানুক্রমিকভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মানুষেরা এসব প্রাচীন জিনিসপত্রগুলো যাতে দেখতে পারেন, সে ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
সাংবাদিক সাজেদ রহমান বকুল বলেন, ‘রেলওয়ের সিগনালে এই ধরনের হারিকেন ব্যবহার করা হতো। যশোর এলাকায় রেল আসছে ১৮৭৩ সালে। ফলে এ হারিকেন দুটি ১৮৭৩ বা তার পরবর্তী সময়ে হতে পারে। তবে হারিকেন দুটি প্রাচীনকালের এবং শতবছর আগের’।
এ ব্যাপারে সাগরদাঁড়ির মধুপল্লীর কাস্টডিয়ান হাসানুজ্জামান বলেন, ‘এই ধরনের হারিকেন শত বছরের পূর্বের। এগুলো ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে আগে ব্যবহার করা হতো’।