gramerkagoj
শুক্রবার ● ৫ জুলাই ২০২৪ ২১ আষাঢ় ১৪৩১
gramerkagoj
নিজেকে নির্দোষ প্রমানে যশোর আ’লীগ সভাপতি মিলনের ৪৫ লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষণা
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২ জুলাই , ২০২৪, ১০:২০:০০ পিএম
কাগজ সংবাদ:
GK_2024-07-02_6684292cd8ac7.webp

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ৪৫ লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবার প্রেসক্লাব যশোরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই পুরস্কার ঘোষণা করেছেন তিনি। সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামে একটি জায়গা দখল করা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে তিনি এই ঘোষণা দিয়েছেন।
আসাদুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি বেশ কয়েকদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন তার জায়গা জমি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কয়েকদিন আগে শতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে আসাদুজ্জামানের বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়ে এক কোটি টাকার সম্পদ লুট করেছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। সেই অভিযোগের জবাব দিতে মঙ্গলবার পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন শহিদুল ইসলাম মিলন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি ওইদিন ঘটনাস্থলে গিয়েছি প্রমাণ করতে পারলে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার দেবো। আমার ছেলে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সামির ইসলাম পিয়াস সেখানে গিয়েছিল প্রমাণ করতে পারলে পুরস্কার দেবো ১৫ লাখ টাকা আর অভিযোগকারী আসাদুজ্জামান যদি জমির কাগজপত্র দেখাতে পারে তাহলে আরও ১০ লাখ টাকা দেবো পুরস্কার।’
উল্লেখ্য, হামিদপুরের আসাদুজ্জামানের সাথে তার বেয়াই বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। তিনি ওই জমি দখলে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করে আসছেন বলে অভিযোগ আসাদুজ্জামানের। কয়েকদিন আগে শতাধিক যুবক আসাদুজ্জামানের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে। আসাদুজ্জামানের অভিযোগ, শহিদুল ইসলাম মিলন এটি করিয়েছেন। ওই ঘটনার সাথে শহিদুল ইসলাম মিলন ও তার ছেলে জড়িত না এবং ওই জমি তার বেয়াই নুরুল ইসলামের বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, কার্যত তিনি ওই জমির কোনো পার্ট নন। তার আত্মীয় নূরুল ইসলাম ও নুর মোহাম্মদ ওই জমির প্রকৃত মালিক এবং তারা খাজনা ট্যাক্স দিয়ে চলেছেন। আর আসাদুজ্জামান ভূমিদস্যু। বয়বৃদ্ধ নূরুল ইসলাম মাষ্টার ও নুর মোহাম্মদের পরিবারের লোকজনকে হেনস্তা করে ভয়ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘদিন জবর দখলে আছে। ঘটনার ব্যাপারে তার ও তার ছেলের নাম জড়িয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় এমনকি থানা পর্যন্ত অভিযোগ করা হয়েছে। মিথ্যাচারের একটি শেষ থাকে। আসাদুজ্জামানের পরিবারের সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান এটা ভুয়া। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য কিংবা সন্তান জুড়ে দিয়ে চরম মিথ্যাচার করা হচ্ছে। প্রকত মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবীর কবু, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম, জেলা সদস্য সামির ইসলাম পিয়াস, শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ খানসহ আওয়ামী লীগের আরো অনেকে।

আরও খবর

🔝