gramerkagoj
রবিবার ● ৬ জুলাই ২০২৫ ২১ আষাঢ় ১৪৩২
gramerkagoj
কাঠালের ইরাম দশা কেন!
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২ জুলাই , ২০২৪, ১০:১৬:০০ পিএম
আক্কেল চাচা:
GK_2024-07-02_668427f8525cb.jpg

একন ফলফুরুট খাওয়া মানে বড়লোকি ব্যাপার স্যাপার। বাজারের খইতে যাইগের হাতে তাইগের আর ফলফুরুট খাওয়ার নুচ থাকে কিনা সিডা এট্টা বড় কোচ্চেন। নিত্য দরকারি জিনুস পত্তর কিনতি যাইয়ে মানুস হ্যারেজ খাইয়ে যাচ্চে স্যানে ফলফুরুট কিনতি যাওয়া মানে বিরাট কিচু। রোগ বালাই ছাড়া আর তলশুড়া ইনকাম ছাড়া ফলফুরুট খাতি খুব এট্টা চোকি পড়ার কতা না। বিদেশী ফল তো কেরমে কেরমে কিনার ক্ষেমতার বাইরি চইলে যাচ্চে। এট্টু আশা ছিল দেশী ফল। সিডাও একন কিনার মত নেই।
পেত্তেক বচর মানুস এট্টু আম কিনে খাইতো সিডাও এবার চড়া। খরায় গুটি ঝইরে যাওয়ায় এবার আমের ফলন কম। এই সেই উসলোতে এবার আমেও হাত দিয়ার জো নেই। বেজাইতে আম শ’ত্তে এট্টু নিচেয় তেবে এট্টু জাইতে আম হলি শ’র ওপরে। বাজারে দাম কম আর অজ্জিনাল কোন ফল হলি সিডা কাঠাল। অজ্জিনাল কচ্চি এই কারনে, এক মাত্তর কাঠালেই না দেয় কোন ওষুদপানি, না দেয় ফরমালিন, না কোন কিচু। এট্টা কাঠাল ভাঙলি বাড়ির স¹লি মিলে খাতি পারে। আমাগের জাতীয় এই ফলডার সব কিচুই ব্যবহার করা যায়। ফল খাইয়ে বিচি গুলো ভাইজে,রান্না কইরে ইরাম কি গুড়ো কইরে খাওয়া যায়। ভুতড়া গুলোও গরু ছাগলের খাইদ্য। অতস্ত এই ফলডার দাম দিনকে দিন কুমতিই আচে। ইরাম এট্টা ভাব ফিরি দিলিও মানুস একন খাতি চায় না। কিন্তুক এই ফলডাই সব চাইতে পাওয়োরফুল। কাঠালে হ্যাতো পুষ্টি আর শক্তি যে কারনে স¹লি ইডা খাইয়ে সহ্য কত্তি পারে না। এট্টা সুমায় ছিল যকন মানসির ঘরে চাল বাড়ন্ত থাইকতো। তকন মানুস কাঠাল খাইয়ে দিন পার কইত্তো। খির কাঠাল এক সুমায় মানসির সিরা খাবার ছিল। সেই কাঠাল আস্তের আস্তের মানসির পছন্দের চুতাত্তেই সইরে যাচ্চে। বিচির জন্যি একন লোক ডাইকেও কাঠাল খাওয়ানো যাচ্চে না। নির্ভেজাল, স্বাদ, পুস্টি সব কিচুতি সিরা তবু মানসির মনেত্তে কাঠাল পাছোয় যাচ্চে কি কারনে সিডা খুজদি গিলি গবেষুনা কত্তি হবে।
সুমাজের গুনী মানসির মতো একন কাঠালের দশা। সব কিচুতি সিরা হয়েও তার দাম নেই। অকাইজো জিনুসির একন চাহিদে বেশি কাইজো জিনুস পড়ুটে হইয়ে যাচ্চে দিনকে দিন। কোন জামেনা আইসলো কও দিনি বাপু! মানসির ভালোর চাইতে মন্দোর দিকি বেশি ঝোক। আলাম কনে, মলম যে!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা

আরও খবর

🔝