শিরোনাম |
চৌগাছার মাকাপুর গ্রামের মৃত হায়দার আলীর সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে স্ত্রী ও ছোট ছেলেকে মারপিটের মামলায় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পিবিআই। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চারজনের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই এর তদন্তকারী কর্মকর্তা সৈয়দ রবিউল আলম।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন মাকাপুর গ্রামের সহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী শকিলা খাতুন, ছেলে রুমন মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু ও তার ছেলে সাকিব ইকবাল বিশাল।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, মাকাপুর ধনী বাড়ির হায়দার আলী জিবীত থাকা অবস্থায় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নিয়ে স্ত্রী, ছেলেমেয়ে এবং জামাতাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে হায়দার আলীর স্ত্রী লতিফা হায়দার, ছোট ছেলে আল ইমরান, মেয়ে স্নেহলতা পারভীন বিউটি যশোর উপশহর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। ২০২৩ সালে লতিফা হায়দারসহ অন্যরা ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষ্যে মাকাপুর গ্রামের বাড়িতে যান। ২৭ জুন দুপুরে আসামিরা হাদয়ার আলীর বাড়িতে চড়াও হয়ে স্নেহলতা পারভীন ও তামান্না নাজনীন লাভলীকে মারপিট করে গুরুতর জখম করেন।
এ ঘটনায় তামান্না নাজনীন লাভলী বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে চৌগাছা থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় রাজিব হোসেন, মাসুম, সজিব আহম্মেদ ও মজনুকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।