শিরোনাম |
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ভাতিজার অতর্কিত ভাবে লাঠির আঘাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চাচীর আরজিনা বেগম (৫০) মারা যান।
সোমবার (১ জুলাই) সকালে উপজেলার পাটিকাবাড়ি এলাকায় নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরজিনা বেগম নামে ওই নারী মারা যান।
অভিযুক্ত উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের পাটিকাবাড়ি এলাকায় ২নং ওয়ার্ডের রফিকুল ইসলাম ছেলে ফরমান আলী রিপন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত (১৬ জুন) ঈদুল আযাহার আগের দিন চাচী আরজিনা বেগম প্রতিবেশী রিপনের বাড়ির সামন দিয়ে হেটে যাচ্ছিল এ অবস্থায় ভাতিজার অতর্কিত ভাবে বাঁশের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করতে থাকে। স্থানীয়রা তা দেখে গুরুতর আহত হলে তাকে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে আসার তিন দিন পর আজ সোমবার সকালে নিজ বাড়িতে আরজিনা বেগমের মৃত্যু হয়। এর আগে আরজিনা বেগম হাসপাতালে থাকাকালীন একটি প্রভাবশালী মহল মীমাংসা করার চেষ্টা করতে ব্যর্থ হন।
এ ঘটনায় ছেলেকে বাঁচাতে অভিযুক্ত বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ছেলে ফরমান আলী রিপনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। সে মামলায় রিপনকে গ্রেফতার করে পুলিশ জেল হাজতে পাঠান।
নিহত আরজিনা বেগমের স্বামী গোলাপ হোসেন গ্রামের কাগজকে বলেন, প্রতিবেশী ভাতিজা রিপন আমার স্ত্রীর মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে যায়। পরে হাসপাতাল নিয়ে গিয়ে ডাক্তার তার মাথায় ২৬ টি সেলাই দেন। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর বাড়ি নিয়ে আসলে আমার স্ত্রী মারা যায়। এঘটনায় হত্যাকারীর দৃষ্টান্ত মুলোক শাস্তি চাই।
নিহতের ভাই সিরাজুল ইসলাম গ্রামের কাগজকে বলেন, ঘটনার পর পরই স্থানীয় এক নেতা আমাদের ঘটনাটি মিমাংশা করতে চাপ দিয়ে আসছেন।এমতবস্থায় আজ সোমবার সকালে আমার বোন মারা যায়। এ ঘটনায় আমরা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ আমাদের মামলা নেয়নি বলে দাবী করেন।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সাইফুল ইসলাম গ্রামের কাগজকে বলেন, নিহত ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পোস্ট মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, অভিযোগ না নেওয়ার বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।