gramerkagoj
বুধবার ● ৩ জুলাই ২০২৪ ১৯ আষাঢ় ১৪৩১
gramerkagoj
যশোরে ভাবি হত্যার দায়ে দেবরের ফাঁসির আদেশ
প্রকাশ : রবিবার, ৩০ জুন , ২০২৪, ১০:০৯:০০ পিএম
কাগজ সংবাদ:
GK_2024-06-30_66818384a2779.jpg

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় ভাবি জিনিয়া ইয়াসমিন তুলি হত্যার দায়ে তার দেবর বিমান বাহিনীর সাবেক প্রভোস্ট মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
একইসাথে মামলার অপর দুই আসামি স্বামী বিমান বাহিনীর কর্পোরাল জুলফিকার আলী ও শাশুড়ি ফরিদা বেগমকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। রোববার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক সুরাইয়া সাহাব এই রায় প্রদান করেন। দন্ডিত মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বাঘারপাড়া উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামের মৃত মোশারফের ছেলে। আদালতের অতিরিক্ত পিপি আসাদুজ্জামান আসাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল স্বামী জুলফিকার আলীর সাথে মোবাইলে কথা বলছিলেন তুলি। এসময় দেবর শাহাবুদ্দিন তার ঘরে প্রবেশ করেন। এর পরপরই শাশুড়ি ফরিদা তার ঘরের দরজা আটকে দেন। শাহবুদ্দিন ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তুলিকে জখম করেন। তুলির চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে শাহাবুদ্দিন ও তার মা পালিয়ে যান। প্রতিবেশীরা তুলিকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সিএমএইচ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। সেখানে পরের দিন মারা যান তুলি।
নিহতের পিতা ঝিকরগাছা উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের শহিদুল বাদী হয়ে বাঘারপাড়া থানায় দেবর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা করেন। এঘটনায় জড়িতদের আটকের দাবিতে যশোরে মানববন্ধন হয়। দেবর শাহবুদ্দিন ও শাশুড়ি ফরিদাকে আটক করলেও ধরা ছোয়ার বাইরে থাকেন স্বামী জুলফিকার। মামলার তদন্ত শেষে কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তুলির দেবর, শাশুড়ির সাথে তার স্বামীর বিরুদ্ধেও চার্জশিট দাখিল করেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তুলির স্বামী জুলফিকার আলীর দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়কে কেন্দ্র করে পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। এ হত্যায় তার স্বামীর প্রত্যক্ষ মদদ ছিল।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তুলির দেবর শাহাবুদ্দিনকে ফাঁসি ও একলাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন বিচারক। একইসাথে মামলার অপর দুই আসামি স্বামী জুলফিকার আলী ও শাশুড়ি ফরিদা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দন্ডিত আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
এদিকে, এ রায়ে পরিপূর্ণ সন্তুষ্ট নয় মামলার বাদীপক্ষ। রায় শুনে আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তুলির পরিবারের সদস্যরা। তুলির ভাই নূর আলম বলেন, শাহাবুদ্দিন মূল ঘাতক। কিন্তু জুলফিকার আলী ও তার মাও প্রত্যক্ষভাবে এ হত্যাকান্ডে জড়িত। চার্জশিটে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ফলে ওই দুই আসামির শাস্তি নিশ্চিত করতে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন ।

আরও খবর

🔝