gramerkagoj
বুধবার ● ৩ জুলাই ২০২৪ ১৯ আষাঢ় ১৪৩১
gramerkagoj

❒ জম্মনিবন্ধন প্রদানে অনিয়ম

লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা শুভাশিস বিশ্বাস সহযোগীসহ আটক

❒ চেয়ারম্যান ও সচিবকে শোকজ

প্রকাশ : রবিবার, ৩০ জুন , ২০২৪, ১০:০৩:০০ পিএম , আপডেট : মঙ্গলবার, ২ জুলাই , ২০২৪, ০৫:০১:৩৪ পিএম
কাগজ সংবাদ:
GK_2024-06-30_668183344cff1.jpg

যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদে জন্মনিবন্ধন প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে উদ্যোক্তা ও তার সহযোগী নিশাতকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আব্দুল ওহাব কোতোয়ালি থানায় রোববার রাতে একটি মামলা করেছেন।
অন্যদিকে, জন্মনিবন্ধন প্রদানে অনিয়মের ঘটনায় লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান মিলন ও সচিব আব্দুল ওহাবকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদেরকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পরিষদের উদ্যোক্তা শুভাশিস বিশ্বাস ও তার সহযোগী নিশাত দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের অনিয়ম করে আসছিলেন। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য অনিয়ম হলো মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাইরের জেলার বাসিন্দাদের জন্মনিবন্ধন প্রদান করা। কিন্তু তার স্বপক্ষে কোনো কাগজপত্র নিতেন না। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি চক্র লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে জন্মনিবন্ধন ও নাগরিক সনদ গ্রহণ করতো। যার হোতা ছিলেন উদ্যোক্তা শুভাশিস। এছাড়া, বিভিন্ন সরকারি কাজ করতে গেলে শুভাশিসকে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ দিতে হয়, অন্যথায় হয়রানি করা হয়। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস রোববার দুপুরে নিজেই ইউনিয়ন পরিষদে হাজির হন। তিনি উদ্দ্যোক্তার কক্ষে যেয়ে অভিযোগের প্রমাণ পান। পরে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করেন ইউএনও।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস জানান, তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিষদে পরিদর্শনে যান। এর অংশ হিসেবে রোববার লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদে যান তিনি। যেয়ে দেখেন চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, চাঁদপুর, সাতকানিয়াসহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দাদের লেবুতলা ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা দেখিয়ে জন্মনিবন্ধন প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তীতে এর স্বপক্ষে কাগজপত্র দেখাতে বললে উদ্যোক্তা ব্যর্থ হন।
ইউএনও জানান, আটকদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। একইসাথে এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে থানায় মামলা করতে বলা হয়েছে। কেন এ ঘটনা ঘটলো সেজন্য ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সচিবকে শোকজ করা হয়েছে। তাদেরকে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস।
যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দুইজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের সাথে অন্য কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
এ বিষয়ে জানতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলীমুজ্জামান মিলনের মোবাইল ফোনে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

আরও খবর

🔝